কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ সড়কের পাশে মাদারগঞ্জ শিবগঞ্জ এলাকায় ৫৫০ একর জমির ওপর বিমান বন্দরটি স্থাপন করা হয়। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিশেষ কৌশল প্রয়োগের জন্য এই বিমান বন্দরটি নির্মিত হয়। পাকিস্তান আমলেও ত্রাণসামগ্রী পরিবহনসহ জরুরী কাজে বিমানবন্দরটিতে মাঝে মধ্যে বিমান চলাচল করত।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭-৭৮ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সাথে এখানে বিমান সার্ভিস চালু ছিল। তখন থেকেই ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দরটি উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদ সমূহের সাথে ঢাকার বিমান যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন হয়ে পড়ে। এরপর লোকসানের অজুহাতে ঢাকা-ঠাকুরগাঁও বিমান সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় দেড় কি.মি. দীর্ঘ রানওয়ের বড় অংশজুড়ে এখন ঘাস হওয়া এবং চাষাবাদ করায় মানুষ এখানে গরু চড়ায়। অনেকে জমি লিজ নিয়ে এলাকাজুড়ে ভুট্টা চাষ করেছে । রানওয়ের ওপর লোকজন এখন ধান, গম শুকাচ্ছে।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধওে বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় বন্দরের অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। কাঁটাতারের বেড়াসহ খুঁটি ও ইট উধাও হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও সেনাবাহিনীরা বিমান বন্দরের কিছু অংশ তাদের দখলে নিয়ে প্রশিক্ষন কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বর্তমানে বিমান বন্দরটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ।