খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকার তিনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও মামলা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য এখন থেকে মোবাইল ফোনে জানা যাবে। আজ শনিবার এ সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
‘বিচার বিভাগের কার্যক্রমের সমন্বয়, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আয়োজিত এক সেমিনারে সকালে এ মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
আদালতগুলো হচ্ছে- ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে সুপ্রিম কোর্ট ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিভিন্ন সেবা চালু করেছে। দেশের ২০০টি অধঃস্তন কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম এবং মামলা ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সেবা প্রদানে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা ও কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি এ জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। সারা দেশের জেলা ও দায়রা জজদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে স্মারকটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফয়সাল আতিক বিন কাদের। তথ্য চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্মারকে বলা হয়, জাস্টিস সেক্টর ফ্যাসিলিটি প্রকল্পের সহায়তায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরির কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা ও দায়রা জজ/দপ্তর প্রধানদের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় স্মারকে।
অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১২৫টি ল্যাপটপ ও ২০০ ট্যাব। এখন ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। বিচারকদের দেওয়া হবে এমন যন্ত্র। মাঠ পর্যায়ের প্রত্যেক বিচারককে দেওয়া হচ্ছে ল্যাপটপ। দেশের প্রতিটি আদালতে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে সংযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশের ২০০টি অধস্তন কোর্টে মামলার তথ্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সার্ভারসহ পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট স্থাপন করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতা লাঘবে সহায়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আদালতগুলোতে মামলার তথ্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করায় মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ এখন অনেক সহজতর হয়েছে। ফলে সময় ও অর্থেরও অনেক সাশ্রয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।