Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

83খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঋষি কত রকম? কী কী উপায়ে ঋষি হওয়া যায়? সকলেই নিশ্চয়ই বলবেন, উপায় বিভিন্ন রকম নয়। একমাত্র উপায় সাধনা। আধ্যাত্মিক সাধনা। কিন্তু, যাঁদের এই ধারণা রয়েছে, দিল্লির হর প্রকাশের হদিশ পেলে, তাঁদের ধারণা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। বুঝবেন, শুধু আধ্যাত্মিকতা নয়, গিনেসের সাধনা করেও ঋষি হওয়া যায়। তাকে বলা হয় গিনেস ঋষি। ৭০ বছরের হর প্রকাশ নিজের নাম বদলে ফেলেছেন। নিজেকে তিনি গিনেস ঋষি বলেন। প্রতিবেশীরাও সেই নামকরণই মেনে নিয়েছেন। আসল নামটা এখন অনেকেরই বোধ হয় আর মনে নেই। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ অক্লান্ত গতিতে বার বার যদি কেউ নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে থাকেন, তা হলে তাঁকে গিনেস ঋষি বলে ডাকতে আপত্তিই বা কোথায়? সব মিলিয়ে ২২ বার গিনেস বুকে নিজের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন হর প্রকাশ। মানে ২২টি বিষয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব নিজের গায়ে সর্বো”চ সংখ্যক ট্যাটু আঁকানো। বিভিন্ন দেশের পতাকার ট্যাটু, বিভিন্ন দেশের মানচিত্রের ট্যাটু, বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত চরিত্রের ট্যাটু। কপালে, গালে, গলায়, বুকে, পেটে, দুই হাতে সর্বত্র ট্যাটু করিয়েছেন গিনেস ঋষি হর প্রকাশ। ছোট ও বড় আকারের মিলিয়ে বিভিন্ন দেশের পতাকার ট্যাটু মোট ৪৭০টি। মানচিত্রের ট্যাটু ১৬৫টি। আর চরিত্রের ছবি ২৯৮৫টি। নিজের শরীরে গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর নানা উল্লেখযোগ্য বিষয়কে ধরে রাখার এই তপস্যা কি কম কঠিন! এছাড়াও নানা উল্লেখযোগ্য কীর্তি রয়েছে গিনেস ঋষির। যেমন, পিৎজা ডেলিভারি দিতে নয়াদিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাওয়া, নিজের ৬১ বছরের শ্যালককে দত্তক নেওয়া (দত্তক গ্রহণের বয়স হিসেবে যা বিশ্বে সর্বো”চ), ৬৪ ইঞ্চির দীর্ঘতম ‘সুগার কিউব’ তৈরি করা, নিজের মুখে একসঙ্গে ৭৫০টি স্ট্র ঢোকানোর জন্য নিজের সব দাঁত তুলে ফেলাৃ। এমন রেকর্ড-ক্ষ্যাপাকে নিয়ে নয়াদিল্লিতে তাঁর পাড়ায় যখন আলোচনার শেষ নেই, তখন নিজের অন্দরমহলে কিন্তু নিতান্তই বিপাকে গিনেস ঋষি। স্ত্রী বিমলা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট, বিরক্ত। স্বামীর সর্বক্ষণ প্রচারের আলোয় থাকার চেষ্টা তাঁর ঘোর অপছন্দ। উদ্ভট কার্যকলাপ বন্ধ করতে বহু বার তিনি শাসিয়েছেন হর প্রকাশকে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই বেশ কিছু বছর হল, বিমলা হর প্রকাশের সঙ্গে হাটেবাজারে যাওয়া বা রাস্তায় বেরনো বন্ধ করে দিয়েছেন। হুমকি দিয়েছেন, আর ট্যাটু করালে তিনি বাড়ি ছাড়বেন। গিনেস ঋষি এতে সামান্য সঙ্কটে। বিমলা আশ্বাস দিতে বাধ্য হয়েছেন যে নিজের গায়ে আর ট্যাটু করাবেন না। তবে স্ত্রীয়ের আড়ালে বলছেন, গোটা পিঠটা এখনও ফাঁকা মাঠ। সেখানেই আর একটা বিশ্বরেকর্ড করে ফেলা যাবে। কেমন রেকর্ড? গিনেস ঋষি চুপিচুপি জানালেন, ৫২ জন বিশ্বসেরা ট্যাটু শিল্পীকে দিয়ে তিনি এক সঙ্গে নিজের পিঠে ট্যাটু করাবেন। শিল্পীরা নিজেদের পরিচয় এবং উল্লেখযোগ্য কাজ ট্যাটুর আকারে তাঁর পিঠে এঁকে দেবেন। মুচকি হেসে সংযোজন করলেন, “আমারা পিঠটা হতে চলেছে ওই শিল্পীদের হল অফ ফেম।