খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
নতুন আইফোন ৬ এস এবং ৬ এস প্লাস হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি কোনো একটি পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন এবং সেটি হচ্ছে, নতুন এই হ্যান্ডসেট দুটি তার পূর্বসূরি আইফোন ৬ থেকে ভারী। যদিও খুব বেশি ভারী নয়, তবে হাতে নিলে বোঝা যায় খুব সহজেই। আইফোন ৬ এস এবং ৬ এস প্লাস আগের বছরের মডেল থেকে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি ভারী। এমনটাই জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ওজন বৃদ্ধি ঘটল কীভাবে? অনেকে সন্দেহ করছেন, এই হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যারোস্পেস গ্রেডের অ্যালুমিনিয়ামের ধাতব মিশ্রণই এই ওজন বৃদ্ধির কারণ। কিন্তু এই ধারণাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, আগের আইফোন ৬ মডেলে ব্যবহার করা হয়েছিল ছয় হাজার সিরিজের মিশ্রণ এবং এবার ব্যবহার করা হয়েছে সাত হাজার সিরিজের মিশ্রণ। ছয় হাজার সিরিজের মিশ্রণে ব্যবহৃত ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন থেকে সাত হাজার সিরিজের জিঙ্ক আহামরি তেমন কোনো ভারী মৌল নয়। অ্যাপল দাবি করছে, আইফোন ৬ তৈরিতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম এস তার পূর্বসূরিতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম থেকে মাত্র ২ গ্রাম বেশি ভারী এবং ৬ এসের অ্যালুমিনিয়ামের ওজন বরং এক গ্রাম কমেছে। তাই নতুন এই অ্যালুমিনিয়াম আপনার আইফোনকে বেঁকে যাওয়া থেকে রক্ষা করলেও নতুন কোনো ভার যোগ করছে না। নতুন আইফোন ভারী হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, নতুন থ্রিডি টাচ ডিসপ্লে। কারণ, আইফোন ৬ এস এবং ৬ এস প্লাসে ব্যবহার করা নতুন এই ডিসপ্লের ওজন আইফোন ৬ মডেলে ব্যবহার করা ডিসপ্লের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। আগের ডিসপ্লের ওজন ছিল ১২ গ্রাম এবং বর্তমানটার ২৯ গ্রাম। কারণ, থ্রিডি টাচ তৈরি করতে অ্যাপলকে রীতিমতো নতুন একটি আস্তরণ যোগ করতে হয়েছে এর ডিসপ্লেতে, যার মাধ্যমে আঙুলের চাপ পরিমাপ করা যাবে। ডিসপ্লের ব্যাকলাইটে ব্যবহৃত এই সেন্সরই ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ। আইফোন ৬ এস এবং ৬ এস প্লাস তাদের পূর্বসূরি থেকে যথাক্রমে ১৪ ও ২০ গ্রাম বেশি ভারী। যদিও এই বেড়ে যাওয়া ওজনের জন্য সেট দুটি ব্যবহার করতে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়। তবু ওজন বেড়ে যাওয়ার রহস্য ভেদ করতে পারাটা বেশ সুখকর বটে।