খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এই পৃথিবীতে জল ও স্থলে রয়েছে এমন অনেক স্থান যেখানে এডভেঞ্চার প্রিয় ছাড়া সাধারণ মানুষ চাইলেও যেতে পারে না। আবার কিছু স্থানের রয়েছে ঐতিহাসিক রহস্যময়তা। আর এসব স্থান নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও কোনো শেষ নেই। আজ আমরা জল স্থলের এমনই দুটি রহস্যময় স্থান সম্পর্কে জানবো।
মাচু পিচু শহর:
সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৭০০০ ফুট উপরে আন্দেস পর্বতশ্রেণীর মধ্যে একটি ছোট পাহাড়ের চূড়ার উপর মাচু পিচু নামে এই শহর অবস্থিত। এ অঞ্চলেই উপকথার প্রথম সাপা ইনকা মাংকো কাপাক ১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কোস্কো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৪৪২ সালের মধ্যেই রাজা পাচকুতিকের অধীনে ইনকারা তাদের সাম্রাজ্য দূরদুরান্তে বিস্তৃত করে, পাচকুতিক নামের অর্থই হচ্ছে, ‘পৃথিবী কাঁপানো মানুষ’। তিনিই ইনকা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের আগে দুই আমেরিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য ছিল। ইনকা সাম্রাজ্য প্রে-কলাম্বিয়ান আমেরিকাতে বৃহত্তম সাম্রাজ্য ছিল। এই সাম্রাজ্যের প্রাশাসনিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক কেন্দ্র ছিল কোস্কো শহর। পেরুর পাহাড়ি এলাকায় ১৩০০ শতকের দিকে ইনকা সভ্যতার সূচনা হয়।
এটি ১৪৫০ সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এটি বর্তমান বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়েরও একটি।
পিটকেয়ার্নে দ্বীপ:
বিনামূল্যে অঢেল ভূমি ভাল আবহাওয়া এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বোঝাপড়া সামান্য সুযোগ হতে পারে। তবে এখনো প্রায় কেউই পিটকেয়ার্নে যেতে চায়না। কারণ এই ক্ষুদ্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ এখনো পর্যন্ত বিদ্রোহীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়, এছাড়াও এখানে রয়েছে ছোট বড় এতো শাপ যে সাধারণত পর্যটকরা সেখানে যেতে সাহস করে না। এটি ব্রিটিশদের অবশিষ্ট ১৪ বিদেশি কলোনি দ্বীপের মধ্যে একটি।