Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
86বয়স চল্লিশের কোটা পার হয়েছে বছর দেড়েক আগেই। অবসরের জন্য তাগাদাও কম আসেনি পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের। বরাবরই নিজের মতো করে চলা এ ব্যাটসম্যান সেসবে একদম কান দেননি। অনেকে বলেন মিসবাহর ব্যাটিং ক্রিকেটের বর্তমান ধারার সঙ্গে বড্ড বেমানান। তারপরও মিসবাহর দলে থাকা এবং নেতৃত্ব দেওয়া- সেটাও তো কম বিস্ময়ের নয়। ধুম-ধারাক্কা ব্যাটিংয়ের বর্তমান সময়ে সবকিছুতেই মিসবাহর পথচলা অনেকটা ঢিমেতালে। ২৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মিসবাহর জন্য অবশ্য ৪১ বছর ‘বেশি বয়স নয়’। এ জন্য অবশ্য পিসিবিকে দোষ দিয়ে থাকেন অনেকে। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হতেই যার বয়স ২৪ পার হয়ে যায় তার জন্য তো আর নির্বাচকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ক্রিকেটের সবকিছুই কিছুটা দেরিতে শুরু করা মিসবাহ অবসরটাও মনে হয় অন্যদের চেয়ে কিছুটা দেরিতেই নিতে চাচ্ছেন। না হলে শচীন টেন্ডুলকার, সাঙ্গাকারাসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা তারকারা যেখানে মধ্য তিরিশেই অবসর নিয়েছেন সেখানে মিসবাহর পার হয়ে গেছে ৪১ বছর ১১২ দিন। এখনো নাকি অবসর নিয়ে ভাবেননি মিস্টার ফিফটি! ৫৮ টেস্ট আর ১৬২ ওয়ানডে খেলা এ ব্যাটসম্যান কিছুদিন আগে বলেছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলে অবসরে যাবেন। তবে ভারত রাজি না হওয়ায় আপাতত সেই সিরিজ আর হচ্ছে না। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজ নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়। প্রাসঙ্গিক হিসেবে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের অবসর ইস্যুও চলে আসে সামনে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিসবাহ সরাসরিই জানিয়ে দেন, এখনো তিনি অবসরের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেননি। তবে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে এ বিষয়ে ভাববেন বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালির এ ক্রিকেটার। মিসবাহ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কোনো পরিকল্পনা কিরিনি। তবে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করবো আমি।’ ২০০৯ সালের পর থেকেই পাকিস্তানে ক্রিকেট নির্বাসিত। আর মিসবাহ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০১০ সাল থেকে। ফলে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিলেও দেশের মাটিতে অধিনায়কত্বের সুযোগই হয়নি তার। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজ খেলে গেলেও তাতে অধিনায়ক ছিলেন না এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে মিসবাহর কাক্সিক্ষত সেই সিরিজ। ইংল্যান্ড সিরিজের পর সত্যিই মিসবাহ অবসর নিলে দেশের মাটিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার আশা আর পূরণ হবে তার।