খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
দেশের সর্বত্র ই-কমার্স সেবা ছড়িয়ে দিতে চান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর উদ্যোগে রাজধানীর সাইন্স ল্যাবরেটরির ড. কুদরত-ই-খোদা মিলনায়তনে ‘ই-ক্যাব মেম্বারস জেনারেল মিটিং ও মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট বিতরণ’ অনুষ্ঠানে শনিবার বিকেলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ই-কমার্স শুধু শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। ই-কমার্সকে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে নেওয়া হবে। আর এ জন্য যা যা করার তা আমরা করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের এ দেশে গ্রামে ১১ কোটি মানুষ বাস করেন। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে সবগুলো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমারা ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক পাব। আমরা ধীরে ধীরে ই-কমার্সে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের ব্যস্ততার সঙ্গে শ্রমঘণ্টা বাচাচ্ছে ই-কমার্স।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-ক্যাবের লাইসেন্স পাওয়ার মধ্য দিয়ে ই-কমার্সের এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা হয়েছে। ই-কমার্সের প্রসার সারাবিশ্বে দ্রুত প্রসার হচ্ছে। বিষয়টি আমরা বিগত ছয় বছরে দেশের জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই ই-কমার্সের এ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। সারাবিশ্বের কাছে ই-কমার্সের উল্লেখযোগ্য অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-ক্যাবের সহযোগিতায়।’ ‘ই-কামার্সের ক্ষেত্রে জরুরি হল ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেন। আর ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেশের ক্ষেত্রে অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। এ ছাড়া অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় পেপ্যাল সার্ভিসের একটি প্রতিষ্ঠান জুমকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারব। এর মাধ্যমে পেপ্যাল যে সেবা দেয় তার ৮০ ভাগই পাওয়া যাবে’— বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের ২৩০টি সদস্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমপি নঈম রাজ্জাক, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের এমডি সুমি কায়সার, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওয়াহেদ তমাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান হক জামি প্রমুখ।