খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বছরে এমন দুইটি দিন আসে যখন পৃথিবী তার অক্ষের ওপরে একেবারে সোজা হয়ে যায়। তখন বিষুবরেখার ওপরে লম্বভাবে সূর্যরশ্মি এসে পড়ে এবং দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। মহাকালের যাত্রায় আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সেই বিশেষ দিনের একটি, যাকে বলা যায় শারদ বিষুব। ধরে নিন এই হলুদ চিহ্নটি একটি অদৃশ্য সুতো হয়ে প্যাচ দিচ্ছে পৃথিবীকে। এটি বিষুব রেখা। পৃথিবীর অন্তত ১৪টি দেশের স্থলভাগ ছুয়ে গেছে এই বিষুব রেখা। কলম্বিয়া, ব্রাজিল, কঙ্গো, উগান্ডা, কেনিয়া, সোমালিয়া, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া। তার মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডাই যেন বিষুবরেখার উপস্থিতি জানান দেয় পাকাপোক্তভাবে। পৃথিবীর এই অদৃশ্য রেখার ভাগ টের পেতে আপনাকে নিতে হবে বিজ্ঞানের আশ্রয়। হিসাব পাক্কা। বিষুব রেখার দক্ষিণের পানির পাক ঘুরবে ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে বা বাম দিকে। আর উত্তর ঘুরবে ঘড়ির কাটার সোজা দিকে বা ডানে। ২১ মার্চ ও ২৩ মার্চ সেপ্টেম্বর সূর্যকিরণ লম্বাভাবে পড়ে পৃথিবীর ওপর। এই কারণে পৃথিবীর সবখানেই দিনরাত্রী সমান। পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা সারাটি বছরই এমন হিসেবের মধ্যে থাকে। বিষুব রেখার প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়াকমা নেই।নেই রোদ বৃষ্টি ও শীতের বাহুল্য। জীবনকে এক অদ্ভুত শীতলতায় মুড়িয়ে রাখে সারাটি বছর। তাই সারা পৃথিবীর পর্যটকদের আকর্ষণেক্ষেত্র এই উগান্ডা। এ দিনটির বিকেলে যদি কোনো মানুষ বিষুব রেখার লাইনে দাঁড়ায় তাহলে তার নিজের শরীরের কোন ছায়া পড়ে না। কারণ সূর্য তখন থাকে একাবারে সরাসরি। কোন ওপর বিষুব রেখার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে অকারণেই কিছুটা গা ছম ছম করে। কারণ, আপনার ওজন যাই হোক, বিজ্ঞানসম্মত কারণে একমাত্র এখানে আপনি কমে যান আপনার দেহের ওজনের তিন ভাগ। মহা জাগতিক রহস্যের এক অন্যতম আবিস্কার এই বিষুব রেখা। যেখান থেকে পৃথিবী সূর্য এবং সকল দেশের গতি প্রকৃতিকে আলাদা করা যায়। যার ফলে বিষুব রেখাকে কেন্দ্র করে উগান্ডায় এতো পর্যটকদের সমাগম।