Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
21মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেল এক হওয়ার পক্ষে সম্মতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিন্ত্রয়ন কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ বুধবার কমিশন বৈঠকে শর্তসাপেক্ষে একীভূত হওয়ার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ছয়টি শর্তসহ বিটিআরসির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া শর্তের মধ্যে প্রধান হচ্ছে, একীভূত হওয়ার পর রবি বা এয়ারটেলের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। পাশাপাশি গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও কোন বৈষম্য রাখা যাবে না।
সূত্র জানায়, বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ছয়টি শর্তে রবি ও এয়ারটেলকে একীভূত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে রবি ও এয়ারটেলের পক্ষ থেকে দুটি কম্পানি একীভূত হওয়ার আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এর পর কমিশন সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনজন কমিশনার এবং দুজন সংশিষ্ট কর্মকর্তা দুটি কম্পানি একীভূত হওয়ার ব্যাপারে সুবিধা, টেলিযোগাযোগ খাতে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে এক হওয়ার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে প্রধান শর্তগুলো হচ্ছে- একীভূত হওয়ার পর রবি কিংবা এয়ারটেলের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, বিদ্যমান ডিলার এবং গ্রাহকসেবা কেন্দ্রও অপরিবর্তিত রাখতে হবে ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেবার মানে তারতম্য করা যাবে না। এ ছাড়াও একীভূত হওয়ার পর এয়ারটেল ও রবির বিদ্যমান রেডিও তরঙ্গ বা স্পেকট্রাম যোগ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহর্টজ ব্যান্ডে রবির কাছে থাকা ১৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গের সঙ্গে এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ যুক্ত হয়ে একীভূত কম্পানি ‘রবি’র মোট স্পেকট্রাম দাঁড়াবে ৩৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ, যা এই মুহুর্তে মোবাইল ফোন অপারেটরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পেকট্রাম। এখন পর্যন্ত গ্রামীণ ফোনের একক সর্বোচ্চ ৩২ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম রয়েছে। এর বাইরে দুটি কম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনের ২০৮ ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান, বিটিআরসির প্রাথমিক অনুমোদনের পর এটি সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপরে মন্ত্রণালয় চুড়ান্ত অনুমোদন দিলে শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়টি হাইকোর্টের নির্দেশনার মাধ্যমে সমাধান হবে। এর পরই রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।