॥ ফজলুল বারী ॥
খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০১৫
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দুর্ভাগ্যতম ঘটনা দেখলো দেশ! অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত ক্রিকেট ম্যাচটি হয়নি। কবে তা হবে কেউ জানে না! এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাগল জনগোষ্ঠী খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। কারণ এর পেছনে ক্রিকেটার অথবা ক্রিকেটমোদীদের কোনও দোষ নেই। তবে কার কার দোষে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, এর ময়নাতদন্ত করে ভবিষ্যতের সতর্কতা জরুরি। নিরাপত্তার অভাবের কথা বলে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া! যদিও বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ অস্ট্রেলিয়ার এই অভিযোগের সঙ্গে একমত না। তারা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ইস্যুটিকে অজুহাত হিসেবে দেখেছেন! যদিও তারা ভাবেননি নিরাপত্তার ধ্যান ধারণা বাংলাদেশের আর অস্ট্রেলিয়ার এক না। নিরাপত্তার প্রশ্নটি তুলেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের আমজনতার মতো মিডিয়াও এজন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলটিকে ধুয়ে দিয়েছেন! একবারও ভাবার চেষ্টা করেননি বাংলাদেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও একটি খেলা পাগল জাতি। ক্রিকেট দলটি বাংলাদেশে যেতে উদগ্রীব অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে খেলতে যেতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিরাপত্তা প্রশ্নটির পেছনে অনেকে বৈশ্বিক রাজনীতি দেখাছেন! নিরাপত্তার অভাবকে কেন্দ্র করে বিশ্ব ক্রিকেট পাকিস্তানে যায় না। বাংলাদেশও যায় না। বাংলাদেশের জাতীয় দলকে সেখানে নেওয়ার নানান চেষ্টা জনপ্রতিরোধের মুখে স্থগিত হয়েছে। জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানে খেলতে গেছে। কিন্তু আইসিসি সেখানে তাদের আম্পায়ারদের পাঠায়নি। বাংলাদেশের ভাগ্য এখন পাকিস্তানের মতো হয় কি না তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমি আশা করছি, বাংলাদেশ এ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কেন আশাবাদী তা ব্যাখ্যা করবো এ লেখায়। তবে এসবেরও আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্রিকেট বিশ্বের সঙ্গে থাকতে হলে বাংলাদেশের চলমান অনেক নেতিবাচক অবস্থার খোলনলচে পাল্টাতে হবে। এসব নেতিবাচকের কিছুটা আছে বাংলাদেশের ভেতরে, কিছুটা বাংলাদেশের বাইরে। বাংলাদেশের বাইরের যা যা এর অনেক কিছু আমাদের আয়ত্তের বাইরে। সেদিকে চেষ্টা করে বেশি লাভ নেই। ভেতরে যা যা আমরা মেরামতের বা ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারবো সেদিকে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। দেশের বাইরের সমস্যাগুলো বলতে গেলে কেউ কেউ দুঃখ পেতে পারেন। প্লিজ বিষয়টি কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। একটা দিক হলো যে, ব্রিটিশ ভদ্রলোকরা ভদ্রলোকের খেলা হিসেবে ক্রিকেটের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের অঞ্চলে এখন যারা ক্রিকেটভক্ত তাদের কারও কারও অথবা আমাদের অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে তাদের একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে! যেমন- পাকিস্তানে যেসব তালেবান অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর হামলা চালিয়েছিল, ধর্মীয় রাষ্ট্র পাকিস্তানে তারা ক্রিকেট খেলা বন্ধ করতে চেয়েছে! এরা বিশ্বাস করে খেলাকে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয় বা করে তা মানুষের ধর্মীয় চর্চার চিন্তা-চেতনাকে প্রভাবিত অথবা বিঘিœত করে। তাই তারা খেলা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান-মাহফিল-উৎসবের বাইরে অন্যকিছুর আয়োজন-অস্তিত্ব চায় না! তালেবান চিন্তার উন্নত অথবা আধুনিক নানা ব্যবস্থার ব্যবহারকারী সংগঠন আইএস। এই সংগঠন খেলা পছন্দ করে এমন কোনও প্রমাণ নেই। পাশাপাশি আইএস মনে করে পীর-আউলিয়ার মাজারের অস্তিত্বও মাজার পূজার ক্ষেত্র তৈরি করে। সে কারণে তারা ইরাক-সিরিয়ার মাঝে অনেক মাজার ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে! একইভাবে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী একবার সিলেটের শাহজালাল(র.) মাজারের পুকুরে বিষ ঢেলে মাজারের অনেক গজার মাছ মেরে ফেলেছিল! বাংলাদেশের সেই জঙ্গি আর আজকের জঙ্গি এক নয়! আগের অনেকে শুধু মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখনকার এরা বুয়েটসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পড়াশোনা করা! ফেসবুক-টু সারা দুনিয়া জুড়ে এখন যত জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে এসবের সঙ্গে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জড়িয়ে যাচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নাম! আমরা যারা ক্রিকেট ভালোবাসি তাদের বেশিরভাগের বসবাস এখন সে ধর্ম প্রভাবিত অথবা অধ্যুষিত অঞ্চলে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর যারা ক্রিকেটের উদ্ভাবন-বিকাশের সঙ্গে জড়িত, সাম্প্রতিক নানা কারণে তারা এখন আমাদের অথবা আমাদের অঞ্চলটিকে ভয় পায়! আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়ায় যুদ্ধে যাবার পর পাল্টা প্রতিশোধের আশয় তাদের সে ভয়গুলো আরও বেড়েছে! যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোকজন মনে করে ও বিশ্বাস করে, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানকে মিলিয়ে দেখা বোকামি ও ভুল। অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা শঙ্কার তথ্য প্রাপ্তির উৎস যদি তেমন জায়গা বা কারণ থেকে আসে তাহলে তাদের বোঝানো বা আস্থায় আনা সহজ নয়। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধানের সর্বশেষ বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে, তাদের শঙ্কার উৎসটি বৈশ্বিক নয়! নিরাপত্তার ভয়টি এসেছে বাংলাদেশের ভেতর থেকে! বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি নেতারা এজন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা শুরু করেছেন। যদিও খেলাটি পিছিয়ে যাবার আগে এ ইস্যুতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা শঙ্কা অমূলক। বাংলাদেশ কোনও জঙ্গি রাষ্ট্র না। এখন প্রশ্ন বাংলাদেশের ভেতর থেকে নিরাপত্তা হুমকিটি কী করে যেতে পারে? এর অনেক উৎস থাকতে পারে! এর একটি হলো- নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে আমাদের অনেকের জুড়ি নেই! আমাদের রাজনীতিক কেউও যদি মনে করেন, ক্রিকেটে যে এত উন্নতি হয়ে যাচ্ছে, এর সব খুশির নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব নিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা! এই যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মাঠে ছুটে যান! লালসবুজ পতাকা দোলান! এসব অসহ্য মনে হওয়ার কী লোকের অভাব আছে বাংলাদেশে? এদের কেউ যদি পণ করে থাকেন একটা ঝামেলা পাকানোর, তাতে অসম্ভব কী? এদের কেউ কী অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও ই-মেইল পাঠিয়ে সম্ভাব্য হামলার কোনও হুমকি দিয়েছে অথবা এমন কিছু বলে সতর্ক করেছে? এমন কিছু হতে পারে অথবা নাও হতে পারে। আমার ধারণা ইতালীয় নাগরিক খুনের রহস্য যদি যথাযথ উদ্ধার হয় তাহলে অস্ট্রেলিয়া টিমের সফর নিয়ে যা ঘটলো এর একটি যোগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। আর যদি সত্যি সত্যি আইএস জড়িত থাকে তাহলে আমাদের অনেক দুর্গতি আছে সামনে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক রাজনৈতিক বক্তৃতায় ক্রিকেট ম্যাচ না হওয়ার পেছনে মা-ছেলে তথা খালেদা জিয়া-তারেক-ড. ইউনূস সবাইকে দায়ী করেছেন! কোনও সুনির্দিষ্ট সূত্র দেননি। আবার আইএস বা কোনও জঙ্গি সংগঠন দাবি করে বলেনি যে, তারা ক্রিকেট পিছিয়েছে। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, বাংলাদেশ বা বাইরে থেকে কেউ একজন অস্ট্রেলিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা ই-মেইল হুমকি পাঠালো আর তারা তা বিশ্বাস করে সফর পিছিয়ে দিলো তা কি করে সম্ভব? এ ধারণাই যে সত্যি তা দাবি করছি না, তবে এ দেশের ভেতর থেকে দিনরাত এদেরকে যেভাবে দেখি তাতে বলা যায়, এরা কিন্তু যেকোনও ছোটবড় হুমকি বা যেকোনও কিছুকে গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে আইএস এর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবার পর এরা বেশ শেকি অবস্থায় আছে। নিরাপত্তা হুমকির তথ্যটি এরা মার্কিন-ব্রিটিশ এমন কোনও গোয়েন্দা সূত্র থেকেও পেতে পারে। আর হুমকির বিষয়টা তারা যদি ই-মেইলের মাধ্যমে পায় তাহলে তারা তা সেভাবে বিশ্বাস করেনি বলেই তা যাচাই-বাছাইয়ে নিজেদের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে। আর বাংলাদেশের দ্রুত সব পদক্ষেপে যে তারা সন্তুষ্ট হয়েছিল, এর প্রমাণ আছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জেমস সাদারল্যান্ডের বক্তব্যে। সফর স্থগিতের ঘোষণা দিতে গিয়ে সাদারল্যান্ড একইসঙ্গে ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট ও এ দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি নিজেদের সহানুভূতির কথা জানান’, সাদারল্যান্ড বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এছাড়া আর আমাদের কিছুই করার ছিল না। তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘তাদের সহযোগিতা ছিল অভূতপূর্ব।’ আমার ধারণা, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধানের বক্তব্যের ইতিবাচক এই ধারাকে সূত্র ধরেই অসি দলকে বাংলাদেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে এখনই কাজ করা উচিত। সিরিজ ঝুলে যাওয়ার পর বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানের বক্তব্যও ছিল ইতিবাচক। অস্ট্রেলিয়াকে তিনি আঘাত করেননি। আইসিসির বৈঠকে গিয়ে সামনা-সামনি আলোচনায় তিনি বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যটি মোটেই ইতিবাচক নয়। উনাদের কোথাও কোনও সমস্যা মনে হয় না। আমি এর আগে এক লেখায় বলার চেষ্টা করেছি কেন অস্ট্রেলিয়ানরা বিষয়টি এভাবে দেখেছে আর বাংলাদেশ দেখেনি। অস্ট্রেলিয়ানরা জানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে এর কি খেসারত তাদের দিতে হতে পারে। এতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের নেতাদের চোখের চামড়া এত হালকা-পাতলা না যে পদত্যাগ করতে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া টিম তার যাত্রা পিছিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা দলকে ঢাকায় পাঠানোর পর বাংলাদেশের পক্ষে সফর বাঁচাতে আন্তরিক সব পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরোর মতো ইতালীয় নাগরিক হত্যা, এরপর মার্কিন-ব্রিটিশ রেড এলার্ট বাংলাদেশের সব আয়োজনকে তছনছ করে দেয়! ওই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মতো দল কোথাও যেতে পারে না। ওই অবস্থায় অসি দল ঢাকা রওয়ানা দিলে কিন্তু অসি মিডিয়া তাদের আস্ত রাখতো না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বিষয়টি বুঝে সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অন্য অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তির আচরণ-প্রতিক্রিয়া দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন হয়নি। শিডিউলড ক্রিকেট সিরিজটি না হওয়াতে নানান ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এই ঝুঁকি সামাল দিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মাথা ঠা-া, কথাবার্তায় সংযমী রেখে এগোতে হবে। বাংলাদেশের যেসব ঘটনা বাইরে আতংক ছড়ায়, সাবধান হতে হবে তেমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যেসব ঘটনা বাংলাদেশকে ভীতিকর হিসেবে চিত্রিত করে এর একটি ব্লগার হত্যা। বাংলাদেশ কি এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আন্তরিক? এর প্রমাণ রাখতে হবে। ক্রিকেট দলের সফর আটকিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে নিউইয়র্কে ছিলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেছেন এমন শোনা যায়নি। দু’দেশের সম্পর্কটি যেখানে গিয়ে ঠেকেছে, বাংলাদেশকে এ নিয়ে তার কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। এই অচলায়তন ভাঙতে শুধু বিসিবি দিয়ে হবে না এবং এসব করতে হবে দ্রুত। কারণ অস্ট্রেলিয়ার ট্যুরটি যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে ক্রিকেটে এর ক্ষত তৈরি করবে দীর্ঘস্থায়ী। এখনই বিষয়টির মুসাবিদার উদ্যোগ না নিলে এরপর অন্যদের, আইসিসিকে বাংলাদেশে আনা জটিল হয়ে যেতে পারে। আমার বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে আস্থায় আনার চতুর্মুখী উদ্যোগটি নিতে হবে বাংলাদেশকেই এবং তা জোরকদমে। একইসঙ্গে ফালতু কথাবার্তা সব বন্ধ করতে হবে। বাংলাট্রিবিউন
লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক