খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের গবেষকগণ বন্ধ্যাত্ব গবেষণা চালানোর জন্য একটি বিতর্কিত জেনেটিক টেকনিক ব্যবহার করতে চান। গবেষণার পরে ভ্রূণ ধ্বংস করা হবে এবং তা গর্ভের মধ্যে বসানো হবে না। শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের উর্বরতা পর্যবেক্ষণ সংস্থা বললেন, ‘একটা আবেদন গ্রহণ করেছে, যা যথাসময়ে যাচাই করা হবে’। মার্কিন যুক্তরাজ্যে, আইভিএফ (ওঠঋ) চিকিৎসায় ভ্রূণ জিন এডিটিং ব্যবহার বে আইনী, কিন্তু এটি একটি লাইসেন্সের আওতায় গবেষণা চালানোর অনুমুতি আছে। একদল বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘মানবভ্রূণের জিনগত পরিবর্তন করার ব্যাপারে বিতর্ক থাকলেও আদি ভ্রূণগুলো সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান অর্জনের স্বার্থেই এ ধরনের গবেষণার অনুমতি দেওয়া উচিত’। তারা আরও বলেছেন, এভাবে মানবশিশুর জন্ম দেওয়ার অনুমতি এখনই দেওয়া উচিত নয়। ওই বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের কেউ জৈব গবেষণা বিষয়ক নৈতিকতা নিয়ে কাজ করেন, কেউ স্টেম সেল গবেষক। আবার কেউ নীতি প্রণয়ন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা হিংক্সটন গ্রুপ নামে পরিচিত একটি বৈশ্বিক পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে তাঁদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিনগত পরিবর্তন সাধন করে মানবশিশু জন্ম দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণার অনুমতি তারা এখনই চান না। তবে যখন সব ধরনের সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হবে, তখন হয়তো মানুষের প্রজননের এই প্রযুক্তি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। অবশ্য এ ব্যাপারে আরও সারগর্ভ আলোচনা ও বিতর্ক হওয়া দরকার বলে মনে করেন গবেষক দল।