খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কতোটা শক্তিশালী এটা যারা ব্যবহার করেন তারা জানেন। এই মাধ্যমকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ তা করেন; খেসারত দিতে হবে। কেননা, ফেসবুক, টুইটার, গুগুল প্লাস বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত স্ট্যাটাস বা মন্তব্য লিখে অনেকে চাকরি খুইয়েছেন বা শাস্তি পেয়েছেন। এ রকম বিতর্কিত কয়েকটি পোস্ট নিচে দেওয়া হল : পাবলিক রিলেশন্স প্রধান জাস্টিন সাক্কো টুইটারে বিতর্কিত টুইট দিয়ে চাকরি হারানোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত পোস্ট জাস্টিনের। অফিসিয়াল কাজে বিমানে করে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পথে তিনি টুইট করেন ‘আফ্রিকা যাচ্ছি. আশা করি এইডস হবে না। আমি সাদা (হোয়াইট)।’ এমন বর্ণবৈমষ্যমূলক টুইটের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ফলাফল : কাণ্ডজ্ঞানহীন টুইট করায় তাকে চাকরিচ্যুত করে আইএসি। টেলিভিশন হোস্ট ড্যামিয়ান গোডার্ড রজার্স স্পোর্টসনেটের হোস্ট ড্যামিয়ান গোডার্ড অ্যান্টি-গে ম্যারিজ নিয়ে টুইট লিখে বিপদে পড়েন। তিনি হকি এজেন্ট টড লেইনল্ডোর পক্ষ নিয়ে এ সম্পর্কে টুইট করেন, ‘আমি পুরোপুরিভাবে সমর্থন করি টডকে।’ এ ঘটনার পর তাকে শোকজ করে স্পোর্টসনেট। চাইল্ডকেয়ার কর্মী কাটলিন ওয়ালস চায়ল্ডকেয়ারে কাজ করার পর তিনি এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘আমি নতুন চাকরি শুরু করেছি। যদিও ডেকেয়ার আমি ঘৃণা করি, তারপরও করছি।’ এমন পোস্ট দেওয়ার পর তাকে বিদায় বলে দেয় ওই প্রতিষ্ঠান। গণিতের শিক্ষক কার্লি ম্যাককিনি শিক্ষকতা আদর্শ পেশা। কিন্তু কেউ যদি হন বিপরীত আদর্শের, তবে তো ঝামেলা হবেই। ম্যাককিনি নিজের নগ্ন ও ভেজা একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। এটা দেখে অভিভাবকরা মর্মাহত হন। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয় স্কুল থেকে। এইচএসবিসির কর্মী একেবারে শুরুর দিকে তখনো ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিজেদের জায়গা ভালভাবে দখল করতে পারেনি আইএস। ওই সময় এইচএসবিসির ছয় কর্মী সংগঠনটির কায়দায় ইংল্যান্ডে একটি ছবি তুলে টুইট করে। তাতে মুখ বাধা অবস্থায় এক সহকর্মীকে শিরচ্ছেদের দৃশ্য ছিল। শাস্তি হিসেবে কর্তৃপক্ষ ৬ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে।