Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫
34দাড়ি কামাতে বা অবাঞ্ছিত লোম সরাতে শেভ করতে হয়। এ কাজে রেজরের ব্যবহার সর্বাধিক প্রচলিত। সেফটি রেজর বা বিশেষ রেজর যাই হোক না কেন শেভ করতে কিছুটা সমস্যায় পড়তেই হয়। ধারালো হওয়ার কারণে রেজরে শেভ করার সময় কেটে যাওয়া বা ত্বকে জ্বলুনি স্বাভাবিক বিষয়। রেজরে যদি ব্লেড বা ধারালো কোনো অংশ না থাকত তবে এমন সমস্যা থাকত না। এমন রেজর কী সম্ভব? এমনই অসম্ভব রেজরের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিদরা। ‘স্ক্রাচ রেজর’ নামক রেজরে ব্লেডের কাজ করবে লেজার রশ্মি। যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রাচ টেকনোলজি নামক প্রতিষ্ঠান ‘স্ক্রাচ রেজর’ তৈরির জন্য গবেষণা করছে। বাজারের প্রচলিত রেজরের সঙ্গে এর গঠনগত তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা শুধুই ব্লেডে। প্রচলিত রেজরে যেখানে ধারালো ব্লেড সেখানে ‘স্ক্রাচ রেজর’-এ থাকবে লেজার রশ্মি। এর মাধ্যমে কোনো লোমের গভীর থেকে কাটা যাবে। বিভিন্ন রেজর তৈরির প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের পণ্যে ব্লেডের সংখ্যা বাড়াচ্ছে তখন লেজার ভিত্তিক রেজরে কোনো ব্লেডই থাকবে না। ব্লেডের সংখ্যা বাড়ানোর মানে মসৃন শেভ—প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন প্রচারণাকে উপহাসে পরিণত করতে পারে ব্লেডহীন রেজর। এ ছাড়া প্রচলিত রেজর ব্যবহারে শরীর চুলকানো, গোটা ওঠা, ক্ষতসহ নানা সমস্যা দেখা যায়। ‘স্ক্রাচ রেজর’ ব্যবহারে এসব সমস্যার কোনোটিই হবে না। কারণ ‘স্ক্রাচ রেজর’ শেভ করতে মুখে সাবান বা ফোম লাগানোরও কোনো ঝামেলা থাকবে না। এমনকি পানিরও তেমন প্রয়োজন পড়বে না। ‘স্ক্রাচ রেজর’-এর কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষকরা বলেন, নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের লেজার রশ্মি কালো রঙের লোম কেটে ফেলে। কয়েক বছরের গবেষণায় বাদামি রঙের চুলও কেটে ফেলে এমন লেজার রশ্মি চিহ্নিত করা হয়। এভাবে লেজারের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর ভিত্তি করে রেজর তৈরি গবেষণা করছেন। ‘স্ক্রাচ রেজর’ এর গবেষক মর্গান গুস্তাভসন ও পল বিনুন বলেন, সামান্য বা পানিছাড়া তাদের রেজরে শেভ এতটাই মসৃন হবে যে, তা অনেককেই বিস্মিত করবে। তাঁরা আরো বলেন, ব্লেড ধার কমে যাওয়ার কারণে প্রতিবছর মার্কিনীরা অন্তত দুই কোটি রেজর বা রেজরের ব্লেড ফেলে দেয়। ধাতু বা প্লাস্টিকে তৈরি এসব রেজর পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সেখানে ‘স্ক্রাচ রেজর’ একবার কিনলেই হলো। ব্লেডের ধার কমা বা ব্লেড পরিবর্তনের কোনো ঝামেলাই থাকবে না। ‘স্ক্রাচ রেজর’ তৈরির গবেষণায় অর্থায়নের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন মর্গান গুস্তাভসন ও পল বিনুন। এটি বেশ সাড়া ফেলেছে। দুই দিনের মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পাওয়া গেছে। গবেষণার জন্য অর্থ লাগবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার।