Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

362-300x171খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫।। ডেঙ্গু জ্বর এডিস ইজিপ্টি মশা দ্বারা সৃষ্ট একটি বিপজ্জনক ও দুর্বল রোগ। কিন্তু এই রোগের ভীতিজনক কারণ হল এই মশা বাহিত রোগ আমাদের দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এর ফলে অন্ধত্ব হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এর ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হিসেবে প্রাথমিক নির্ণয় করতে পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে চিকিৎসা সেবা নিতে বলেছেন। ভারতের জি নিউজ এর এক প্রতিবেদন হতে এমনটি জানা যায়।
আজ পর্যন্ত ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ২৮০ জনের অধিক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং দুই জন এই মশা বাহিত রোগ হবার কারণে এই বছর মারা গেছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্ট অনুসারে, ডেঙ্গু রোগীদের চোখে এপিডেমিওলজি রোগের লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা পাঁচ থেকে ছয় শতাংশের মধ্যে কোথাও বিস্তৃত হতে পারে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা হাসপাতালে আছেন, তাদের মাঝে ১৬ থেকে ৪০.৩ শতাংশ পর্যন্ত এই রেঞ্জ রয়েছে। তারা বেশীরভাগ ডেঙ্গু রোগীদের চোখে এই রোগের সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছেন।
অপথ্যালমোলজি সার্ভে নামের একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের চোখে যে সকল সমস্যা হচ্ছে তা দুইদিন পর ঠিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যাদের মাঝে সমস্যা বারবার কমছে-বাড়ছে তাদের চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে জানা যায়।
রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে এর কোন সঠিক চিকিৎসা এখনও আবিষ্কার হয়নি। সক্রিয় নজরদারি এবং স্টেরয়েড থেরাপি ব্যবহার করা এর প্রধান চিকিত্সা। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তারেরা ক্লিনিকাল পুনরুদ্ধার করার জন্য  থেরাপি নিয়ে গবেষণা করেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডেঙ্গুকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মশা বাহিত রোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাম্প্রতিক দশকে গ্লোবালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নাটকীয়ভাবে উত্থিত হয়েছে এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখন এই ঝুঁকিতে রয়েছে।
ডেঙ্গুর জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিত্সা নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যেমন- মশার রেপেলেন্ট ব্যবহার করে আপনার হাত, পা ও শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলে এবং আশেপাশে পরিষ্কার করে রাখলে ডেঙ্গু দূর হতে পারে। প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা করতে পারলে ডেঙ্গুর কারণে কোন সমস্যা হয় না।
অতিরিক্ত ডেঙ্গু হবার কারণে এশিয়ান ও লাতিন আমেরিকান দেশের শিশুদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর আবির্ভাবও দেখা যায়।