Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: টুর্নামেন্টের সময়সূচি ও দল চূড়ান্ত হয়েছিল আগেই। 11স্থানীয় একটি হোটেলে কাল হয়ে গেল লোগো উন্মোচন ও ড্র অনুষ্ঠানও। ২০-৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের পালে হাওয়া লাগল আরেকটু। কাকতালীয়ভাবে দুই মোহামেডান পড়েছে একই গ্রুপে। দুই আবাহনীও তা-ই। এ নিয়ে অনুষ্ঠানে একটু রসিকতাও হলো। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বেশ গম্ভীর গলায় বললেন, ‘আমাদের গ্রুপটা তো একটু কঠিনই হলো।’ তা হোক, টুর্নামেন্টের আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী একটা ইতিহাসই গড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কোনো ক্লাবের উদ্যোগে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট। চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্ম ১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, ৩৩তম জন্মদিনের একদিন পর কালকের অনুষ্ঠানটা তাই পেল ভিন্ন তাৎপর্য। অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির প্রধান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বললেন, ‘আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের ফুটবলে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছিলেন শেখ কামাল। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তাঁকে যথার্থ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তবে এটি শুধু চট্টগ্রামের নয়, গোটা বাংলাদেশেরই টুর্নামেন্ট।’ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক আয়োজনই হারিয়ে যায়। তবে শেখ কামাল টুর্নামেন্ট সেই স্রোতে ভাসবে না বলে প্রতিশ্র“তি দিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ‘এই টুর্নামেন্ট প্রতিবছর করা হবে এবং এ নিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করব।’ টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীর আশাবাদ আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণই হবে। গ্যালারি সরগরম রাখতে প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে একজন দর্শককে মোটরসাইকেল দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি ম্যাচের জয়ী দল এক হাজার ডলার এবং ম্যাচসেরা ৫০০ ডলার পাবেন। দলগুলো অংশগ্রহণ ফি পাবে ৫ হাজার ডলার। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ২৫ হাজার ডলার, রানার্সআপের ১০ হাজার ডলার। অনুষ্ঠানে এসব ঘোষণা দিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ারম্যান সাংসদ এম এ লতিফ, বাদল রায়, কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।