খোলা বাজার২৪, রবিবার , ১৮ অক্টোবর ২০১৫ : প্লে স্টোর নতুন ভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েব জায়ান্ট গুগল। বৃহস্পতিবার নতুন আপডেটের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন আনা আপডেটে প্লে স্টোরের হোমপেইজ, সার্চ, স্ক্রলিং আর ডিসকভারি ফিচারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে হোমপেইজে। অ্যাপস অ্যান্ড গেইমস এবং এন্টারটেইনমেন্ট- এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে হোমপেইজটিকে। এন্টারটেইনমেন্ট ভাগে থাকবে মুভি, গান, বই, টিভি অনুষ্ঠানসহ গুগল প্লে’র সংগ্রহে থাকা সব কনটেন্ট। আর অ্যাপস অ্যান্ড গেইমস ভাগে থাকছে স্মার্টফোন আর ট্যাবলেটের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ আর গেইম। এবার প্লে স্টোরে আনা হচ্ছে আনুভূমিক স্ক্রলিংয়ের সুবিধা। এর মানে হচ্ছে, ব্রাউজিংয়ের সময় শুধু উপর-নিচ নয়, এর সঙ্গে ডান-বামেও স্ক্রল করতে পারবেন ব্যবহারকারী। সেইসঙ্গে নতুন যুক্ত করা একটি সারিতে প্লে স্টোরের নতুন সব কনটেন্ট প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্লে স্টোরের সার্চিং ফিচার করা হয়েছে আরও উন্নত। আগের চেয়ে ভালো সার্চ রেজাল্ট, বয়সভিত্তিক রেটিং আর পরিবার-বান্ধব ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার দিকে জোর দিয়েছে গুগল। সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ক্রমান্বয়ে প্লে স্টোরের এই নতুন আপডেট পাবেন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদের সাইট ম্যাশএবল। আগের যে কোনো বছরের তুলনায় প্লে স্টোরের এবারের পরিবর্তনকে সবচেয়ে ‘নাটকীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সাইটটি। প্লে স্টোরের যাত্রার আগের সব ধাপ- ১। ২০০৮ সালের অগাস্ট মাসে অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট নামে যাত্রা শুরু করে। সে বছরই অক্টোবরে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায় এটি। তখন এতে ১শ’টিরও কম অ্যাপ ছিল, যার সবগুলোই ছিল সম্পূর্ণ ফ্রি। ২। ২০১০ সালের মধ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপূর্ণ হয়। অ্যাপের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ৩। ২০১১ সালে ১শ’ কোটি ডাউনলোডের মাত্রা স্পর্শ করে অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট। ৪। ২০১২ সালে অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট গুগল প্লে স্টোরে পরিণত হয়। অ্যাপের সর্বোচ্চ আকার ৫০ এমবি থেকে বাড়িয়ে করা হয় চার জিবি। অ্যাপের সংখ্যা হয় ৫ লাখ। ৫। ২০১৩ সালে প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। আগের চেয়ে অনেক সুশৃংখল আর ব্যবহারে সহজ হয় এটি। ৬। রঙ, অ্যাপ, মেনু, অ্যানিমেশনে আনা হয় উজ্জলতা। নতুন ডিজাইন গাইডলাইন ‘ম্যাটিরিয়াল’ আনে গুগল।