খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : নতুন ধরনের পোর্টেবল কম্পিউটার ও ‘অন্যরকম’ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ফিনল্যান্ডের তিন প্রকৌশলী। এজন্য ‘সলু’ নামের একটি পোর্টেবল কম্পিউটার তৈরি করেছেন তারা। এক প্রতিবেদনে বিলেতি দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ফিনল্যান্ডের ওই প্রকৌশলীরা যে কম্পিউটারটি তৈরি করতে চাচ্ছেন, তা অনেকাংশেই ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে। নিজেদের উদ্যোগ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা ক্রিস্টেফার ল’সন জানিয়েছেন, বিগত ২০ বছরে পার্সেনাল কম্পিউটারের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এর আকৃতি এখনও বাক্সের মতো, এর স্ক্রিন রয়েছে এবং কম্পিউটারটি ডেস্কটপ হলে ব্যবহারকারীরা কিবোর্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, এই ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের যুগে নতুন ধরনের কম্পিউটিং ডিভাইসের প্রয়োজন রয়েছে। অক্টোবরের ১৫ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোকোয় ল’সন ও তার ‘সলু’ দল জানিয়েছেন, তাদের নতুন ধারার ওই কম্পিউটারটি পোর্টেবল হলেও মোবাইলের চেয়ে শক্তিশালী, যেকোনো ডেস্কটপ স্ক্রিনে দেখা সম্ভব এমনভাবে ডিজাইন করা এবং সেটিতে সম্পূর্ণ নতুন রকমের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সলু কম্পিউটারটির বাহ্যিক কাঠামো চার ইঞ্চি কাঠের তৈরি একটি বাক্সের মতো। কম্পিউটারটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত স্ক্রিন রয়েছে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এর সঙ্গে আসা কিবোর্ড বা অন্য কোনো কিবোর্ড এবং ৪কে রেজুলিউশনের চেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ডিসপ্লে পোর্টেবল কম্পিউটারটির সঙ্গে পেয়ার করে ডিভাইসটি চালাতে পারবেন। এ ধরনের কম্পিউটারের ব্যাপারে ল’সন ১৫ বছর ধরে ভাবছিলেন বলেই জানিয়েছেন তিনি, কিন্তু প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে বিষয়টি সেই সময় অসম্ভব ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি সম্ভব। আর তাই ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের উপর নির্ভর করেই গড়ে তোলা হয়েছে নতুন ধারার কম্পিউটিং ডিভাইস সলু। তবে গ্রাহকদের সলুর পূর্ণ সুবিধা পেতে নতুন হার্ডওয়্যার, নতুন সফটওয়্যার এবং কনটেন্টের জন্য আলাদাভাবে অর্থ খরচ করতে হবে বলেই জানিয়েছে গার্ডিয়ান।