খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫ : স্ত্রীর প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অসহায় স্বামী নাঈম হাসান। দীর্ঘদিনেও তিনি বিচারতো পাননি বরং এখন মামলা উত্তোলনের জন্য স্ত্রীর ভাড়াটিয়া লোকজন তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরীতে বসে ঢাকার বড় মগবাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন চৌধুরীর পুত্র প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নাঈম হাসান জানান, জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের জনৈক আদম আলী মৃধার কন্যা নিলুফা ইয়াসমিন নিলুকে ২০০২ সালের ২২জুন তিনি সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নিলু তার সাথে ঢাকার বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। নাঈম অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ৫জুন তিনি মিউচ্যুয়াল ব্যাংকের হোম লোন ও এনসিসি ব্যাংকের সিসি লোন পরিশোধের জন্য নগদ ২৫ লাখ টাকা বাসায় এনে স্ত্রীর কাছে জমা রাখেন। ওইদিন রাতেই নিলুর ভাই ফিরোজ আলম টিপু ও তাদের নিকট আত্মীয় মাসুদ রানা বাসায় বেড়াতে আসেন। পরেরদিন সকালে ব্যবসার জরুরি কাজে তিনি (নাঈম) বাসা থেকে বের হন। এ সুযোগে নিলু তার ভাই ও নিকট আত্মীয়র সহযোগীতায় বাসায় তার কাছে রক্ষিত নগদ ২৫ লাখ টাকা, ৪৮ ভরি স্বর্ণালংকার, হীরার আংটি, বিভিন্ন দেশের ডলার, প্রাইজবন্ড, ব্যাংকের চেকসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ওইদিন (৬ জুন) দুপুরে নাঈম বাসায় ফিরলে কেয়ার টেকার মিজানুর রহমান জানায়, কয়েকটি ব্যাগ নিয়ে নিলু তার ভাই ও স্বজনের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। স্ত্রীকে না পেয়ে বাসায় তল্লাশী চালিয়ে নগদ টাকাসহ উল্লেখিত মালামাল না পেয়ে তিনি (নাঈম) দিশেহারা হয়ে পড়েন। নাঈম আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি তার শ্বশুড়বাড়িতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সুফল না পেয়ে প্রথমে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্রধরে বাকেরগঞ্জ থানার এস.আই কামাল হোসেন তার শ্বশুড় আদম আলী মৃধার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে খোঁয়া যাওয়া মালামালের বেশ কিছু আলামত জব্দ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার মোকাম বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট স্ত্রীসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়ালেও তিনি কোন সঠিক বিচারতো পাননি বরং বর্তমানে মামলাটি উত্তোলনের জন্য স্ত্রীর ভাড়াটিয়া লোকজন তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।