Wed. Sep 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

41খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : মুদ্রাপাচার নিয়ে যৌথ তদন্তের সুযোগসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধনী) অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই রুল দেয়।
আইন সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘সমাজের প্রতি যুবর উদ্যোগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ সংশোধিত ওই অধ্যাদেশে আনা পাঁচটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে ২৫ অক্টোবর রিট আবেদনটি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামারুজ্জামান কচি।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের পর আইনজীবী কামারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১১ অক্টোবর সংশোধিত ওই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। অধ্যাদেশের ২(খ)(ঠ)(অ), ২(খ)(ঠ)(আ), ৫, ৬, ৭ (খ) এবং ১১-এই পাঁচটি ধারা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২ ক, ৩(২), ৩(৩), ১৭ (ক), ১৭ (ঞ), ২০, ২৪ ও ৩২ (১) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
“ওই সব ধারা সংশোধনের মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছে। কারণ আগে মানি লন্ডারিং আইনের অপরাধগুলো দুদক এককভাবে তদন্ত করত। পাঁচটি ধারার বিষয়ে আদালত রুল দিয়েছে।”
ধারাগুলোতে যা বলা হয়েছে
অধ্যাদেশের ২(খ)(ঠ)(অ) অনুসারে দফা (৬) এ বর্ণিত আইনে ‘সম্পৃক্ত অপরাধ’ তদন্তের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত তদন্তকারী সংস্থা, তবে শর্ত থাকে যে সকল সম্পৃক্ত অপরাধ বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য তাহা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ কর্তৃক তদন্ত করতে হবে।
আর ২(খ)(ঠ)(আ) বলছে, সরকাররের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ফাইনানসিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপ দফা (অ) এ উল্লেখিত এক বা একাধিক তদন্ত সংস্থার বিষয়ে বলা হয়েছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশের ৫ ধারায় ২০১২ সালের ৫ নম্বর আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই আইনের ধারা ৯ এর পরিবর্তে নিন্মরূপ ধারা-৯ প্রতিস্থাপিত হবে।
৯। অপরাধের তদন্ত ও বিচার। -(১) আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ ধারা ২ (ঠ) তে উল্লেখিত তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা বা এতউদ্দেশ্যে সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গঠিত একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ তদন্তকারী দল কর্তৃক তদন্ত করা যাইবে।
(২)আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ ক্রিমিনাল ল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ১৯৫৮..এর সেকশন-৩ এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(৩) অভিযুক্ত ব্যাক্তি বা সত্তার সম্পত্তি অনুসন্ধান ও সনাক্তকরণের নিমিত্তে তদন্ত কর্মকর্তা এই আইনের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এ প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
(৪) তদন্তকারী সংস্থা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে অবহিত করতে পারবে।