খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : হাতে লেখা প্রায় দুই লাখ পাসপোর্ট আগামী নভেম্বর থেকে অকার্যকর হচ্ছে। ফলে এ পাসপোর্টে বিশ্বের কোনো দেশেই ভ্রমণ করা যাবে না। ২৪ নভেম্বর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ছাড়া দেশের বাইরে যাওয়া কিংবা প্রবেশ করা যাবে না। অথচ সক্ষমতা ঘাটতি আর ব্যবহারকারীর অনাগ্রহে বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট এমআরপি করা যাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৪ নভেম্বরের পর বিশ্বের কোনো বিমানবন্দরে হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিনই হাজার হাজার এমআরপি প্রদানের কাজ করা হচ্ছে। এরপরেও ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় দু’লাখ হাতে লেখা পাসপোর্টধারীরা এ পরিবর্তন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
এ বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আগাম পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় এক-দেড় লাখের মতো পাসপোর্ট অকার্যকর হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেরই পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। অনেকে আবার হজে যাওয়ার জন্য একবারই পাসপোর্ট বানিয়েছেন, যা পরিবর্তন করবেন না।
অধিদফতর সূত্রে থেকে জানা গেছে, দেশের ৬৪ পাসপোর্ট অফিসে এমআরপি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে। দেশের বাইরে ৪২টি অফিসে প্রতিদিনই প্রায় দুই হাজারের মতো বিদেশি ও অনাবাসী বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন। সব মিলিয়ে বছরে ২৫ লাখ বাংলাদেশি ও ৫ লাখ প্রবাসীকে এমআরপি ইস্যু করা হচ্ছে। তবে এরপরেও দুলাখ পাসপোর্টধারী বাদ পড়ছেন। ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ২২ লাখ এমআরপি প্রদান করেছেন বলে জানান মহাপরিচালক।
আইকাও’র নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বরের পর শুধু বিমানবন্দরগুলো নয়, এসব পাসপোর্টে দূতাবাসগুলো ভিসার সিল কিংবা স্টিকার লাগাতে পারবে না। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সকল বিমানবন্দরে হাতে লেখা পাসপোর্টের পরিবর্তে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) প্রচলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। ২৪ নভেম্বরের পর থেকে এমআপরি ছাড়া বিদেশগমন করা যাবে না উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সে কারণে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে এমআরপি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, কয়েকমাস আগ পর্যন্ত পাসপোর্ট প্রিন্টিং মেশিনে কিছুটা ত্রুটি ছিল। তবে এখন সব প্রিন্টার সচল রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর দ্রুত সময়ের মধ্যে এমআরপি প্রদান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।