Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

1খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশে প্রকাশকসহ সাম্প্রতিক হত্যাকা- ও নৃশংস হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান। জঙ্গি হামলা ও হত্যাকা-ের ঘটনায় এ দেশের মানুষের শঙ্কার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ বিদেশী নাগরিক ও প্রকাশকসহ সাম্প্রতিক খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। এ দেশের রাজনৈতিক বিভাজন ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য ধর্মীয় উগ্রতা ও জঙ্গিবাদকে সুযোগ করে দেবে।
আশুলিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার বর্ণনা দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, আশুলিয়ায় ৫ পুলিশের ওপর ৪ নভেম্বর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। মুহূর্তের মধ্যেই হামলা চালিয়ে সরে পড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। শুধু পুলিশের ওপর হামলা নয়। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ও হত্যাকা- বেড়েই চলছে।
বিদেশী নাগরিকরাও নিরাপদ নয়। পুলিশের ওপর হামলার কিছুদিন আগে দুই বিদেশীকে হত্যা করা হয়। ইতালি ও জাপানের ওই দুই নাগরিকের হত্যার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এখানেই থেমে নেই। বাংলাদেশে মুক্তমনা বুদ্ধিজীবী, লেখক ও প্রকাশকদের ওপর হামলা ও হত্যাকা-ও ঘটেছে। এক বছরে ৫ জন ব্লগার, লেখক ও প্রকাশক খুন হয়েছেন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়দার শাখা সংগঠন (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এসব হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বেশির ভাগই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। একের পর এক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকা-ে তারা আজ ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবেদনটিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্ট শান্তনু মজুমদারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। আমিসহ আমার সহকর্মীরা সবাই আতঙ্কিত, ত্রস্ত। কেউ জানে না কী ঘটছে কখন ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, এসব হত্যাকা-ে বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। এটি (বর্তমান পরিস্থিতি) আমাদের স্বাভাবিক জীবন নয়। চরমপš’ীরা কিছুতেই গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। কিন্তু তারা ঠিকই প্রতিনিয়ত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ ও ভীতির বিষয়টি প্রকৃত ও নির্মোহ কিনা সেটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে আল কায়দা ও আইএস তাদের উদ্দেশ্যে সফল। তারা ভীতি সৃষ্টি করতে পেরেছে। তারা তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সমর্থকদের দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলতে পারছে। সমর্থকদের সশস্ত্র পš’ায় কাজে লাগাতে পারছে। সমাজে চরমপš’া সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারছে।