খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: প্রিয় বিষয়ে ‘ফেল’ করেছিল ১৭ বছরের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। আর সেই শোকে আত্মহত্যা করেছিল সে। কিন্তু উত্তরপত্রের রিভিউতে দেখা গেল, সে শুধু পাশই করেনি, ক্লাসের মধ্যে প্রথম হয়েছে।
পরীক্ষার খাতা দেখার এ ধরনের গাফিলতি নির্বাক করে দিয়েছে মোহম্মদ আদনান হিলালের বাবা-মাকে। তারা মনে করছেন, তাদের ছেলে আত্মহত্যা করেনি, ওটা ছিল একটা খুন। রিভিউতে দেখা গেল, পদার্থবিদ্যায় সে ২৮ নয়, পেয়েছে ৪৮ নম্বর। সবমিলিয়ে সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম সেমিস্টারে হিলাল ক্লাসের মধ্যে প্রথম। ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সবার সেরা হিলাল। যদিও হিলালের আসল নম্বর জানাতে কর্তৃপক্ষের লেগে গেল চার মাস।
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে কোনো পরীক্ষায় পাশ করতে হলে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩ পেতে হয়।
পদার্থবিদ্যায় হিলালের দখলের কথা বাড়ির লোকজন থেকে সহপাঠীরাও জানে। এমনই একটি বিষয়ে ফেল হওয়ার কথা ইন্টারনেটে জানতে পেরে সে গত জুনে আত্মহত্যা করে। অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতার জ্বালায় ঝিলের পানিতে ঝাঁপ দেয় সে। পরদিন ভেসে ওঠে তার দেহ।
এখন রিভিউর ফল বেরোনোর পর পুত্র বিয়োগের যন্ত্রণা কাতর হিলালের বাবা যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ছেলের আত্মহত্যার পর উত্তরপত্র রিভিউ-র আবেদন করেছিলেন হিলালের বাবা।
এই ঘটনার পর ভুল স্বীকার করে নিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড। একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, এ রকম ঘটনা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও ঘটে।