Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements

69খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: ওয়াকা পিচ তার চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে বেশ কিছুদিন হলো। এক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম পিচ হিসেবে ওয়াকায় গত তিন দিন ধরে চলছে রান উৎসব। তবে আজ কিছুটা সময়ের জন্য হলেও পুরোনো ওয়াকাকে দেখা গিয়েছে। মিচেল স্টার্কই ফিরিয়ে এনেছিলেন পুরোনো ওয়াকাকে। পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে গতির ঝড় তুলেছিলেন তিনি। সেই গতির এমনই তোড়, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ব্যাটই ভেঙে গেছে।
ক্রিকেট থেকে ফাস্ট বোলাররা হারিয়ে যাচ্ছেন। স্টার্কের মতো সত্যিকারের ফাস্ট বোলার তো এখন একেবারেই দুর্লভ। আগ্রাসী মনোভাব ও ভয়ংকর গতি মিলিয়ে ফাস্ট বোলিংয়ের সেরা বিজ্ঞাপন এখন এই অস্ট্রেলিয়ানই। ওয়াকার পিচ পেয়ে তো জ্বলেই উঠেছেন স্টার্ক। সারা দিনে বল করেছেন ৯০ মাইল গতিতে।
ইদানীং স্টার্কের জন্য এটা নিয়মিত ঘটনাই। তবে দিনের ৪৫তম ওভারে যা করে দেখালেন তা মনে রাখবেন অনেক দিন। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই বলের গতি তুলেছিলেন ১৫২ কিমিতে। বলটি ম্যাককালামের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল নাথান লায়নের কাছে, কিন্তু ক্যাচটি মিস হয়ে গেল! হয়তো চটে গিয়েছিলেন উইকেটটা ফসকে যাওয়ায়। রেগেমেগে পরের বলটি করলেন ১৫৪ কিমি গতিতে, তার পরেরটি আবার ১৫২!
পেস বোলিং খেলে স্বচ্ছন্দ ম্যাককালামেরও তখন গতির তোড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। পঞ্চম বলেই ১৫৪.৮ গতির এক ইয়র্কার ছুড়লেন স্টার্ক। কোনোমতে বলটাকে ঠেকাতে ব্যাট নামিয়ে আনলেন ম্যাককালাম। নিজের উইকেট বাঁচালেন তবে রক্ষে পেল না তাঁর ব্যাট। ক্রমাগত এমন গতির গোলা ঠেকাতে ঠেকাতে ক্লান্ত ব্যাটের এক কোনাই যে ভেঙে ফেলল স্টার্কের সেই গোলা।
পরের ওভারেই আরেকটি বল দিয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন স্টার্ক। নিজের ২১তম ওভারের চতুর্থ বলটি করলেন রস টেলরের উদ্দেশে। আরেকটি ইয়র্কার, অফ স্টাম্পের একটু বাইরে। আবারও তাড়াহুড়ো করে ব্যাট নামিয়ে আনা। এরই মাঝে দেখা গেল, বলটি পেড়িয়ে গেছে ১৬০ কিমির সীমা। ১৬০.৪ কিমি গতির বল দিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম বোলারদের সেরা পাঁচে উঠে এসেছেন তিনি। বাঁ হাতি পেসারদের মধ্যে এটাই ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলিংয়ের রেকর্ড।