খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫ : এই মহাবিশ্বের বাইরে মহাকাশে, আর কোনও গ্রহে প্রাণের ছিটেকণা অস্তিত্ব আছে কি না, তার অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহে ‘কেমিক্যাল ল্যাপটপ’ তৈরি করে ফেলল নাসা। ল্যাপটপ হলেও সাধারণ ল্যাপটপের মতো নয়। এটাকে বলতেই পারেন গবেষণাগারের ক্ষুদ্র সংস্করণ। অন্য বিশ্বে অ্যামাইনো অ্যাসিড শুধু নয়, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলেও তা চিহ্নিত করতে সক্ষম নাসার তৈরি এই কেমিক্যাল ল্যাপটপ। প্রাণের অন্যতম উপাদান হল এই দু’টি অ্যাসিড।
জানা গিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপুলশান ল্যাবরেটরি (জেপিএল)-তে বানানো হয়েছে এই কেমিক্যাল ল্যাপটপ। প্রাণের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা নমুনা এই ক্ষুদ্র গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
নাসার তরফে জেসিকা ক্রেমার জানান, এই ছোট্ট কেমিক্যাল ল্যাপটপই হতে চলেছে মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে সংবেদনশীল যন্ত্র। সহজেই অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড চিহ্নিত করতে পারবে।
জানা গিয়েছে, আকারে এমনি ল্যাপটপের মতো হলেও, অনেকটা পুরু হবে, যাতে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করার মতো জায়গা পায়।
জেপিএল-এর প্রযুক্তিবিদ ফার্নান্দা মোরার কথায়, ল্যাপটপের মতো দেখতে হলেও এর কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাসায়নিক বিশ্লেষকের কাজ করবে। এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড বিশ্লেষণের জন্য এতে ভিন্ন দু’টি অ্যাপ থাকবে।
প্রসঙ্গত, এই অ্যামাইনো অ্যাসিড হল বিশেষ ধরনের প্রোটিন। বাঁ-হাতি ও ডান হাতির মতো দু-ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড হয়। তবে, একে অপরের মিরর ইমেজ। ভিতরের মূল উপাদান একই। অন্য দিকে, আর ফ্যাটি অ্যাসিড কোষপর্দার মূল উপাদান। প্রাণের ক্ষেত্রে দুটোই জরুরি উপাদান। তবে, প্রাণহীন বস্তুতেও এই উপাদান থাকতে পারে।
তবে, সমস্যা যেটা এই কেমিক্যাল ল্যাপটপে বিশ্লেষণের জন্য তরল নমুনা চাই। মঙ্গলের মতো গ্রহে কতটা তা পাওয়া সম্ভব হবে, তাই এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।