Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

66খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫ : মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।”
তবে ক্ষমার আবেদনে দণ্ডপ্রাপ্তরা কী লিখেছেন এবং আইনমন্ত্রী হিসেবে তিনি কী মতামত দিয়েছেন তা জানাননি আনিসুল হক। ‘রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো আবেদন এবং আবেদনের বিষয়ে সরকারের মতামত আমি কাউকে বলতে পারি না’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
শনিবার দুপুরের পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লিখিত দুই অপরাধীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সরকারের এই কথা তারা ‘বিশ্বাস করেন না’।
এ পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে কারাগার থেকে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে যায়। সেই আবেদনের ফাইলে সন্ধ্যায় স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠিয়ে আনিসুল হক সাংবাদিকদের আরও জানান, যদি দণ্ডপ্রাপ্তদের আবেদন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী (সরকারের কাছে) না আসতো তাহলে আমরা সেটা কেন আমলে নেব?
‘রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো আবেদন এবং আবেদনের বিষয়ে সরকারের মতামত আমি কাউকে বলতে পারি না।’
দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’ হয়েছে এমন দাবির বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এই বিষয়গুলো আগেও তারা দাবি করেছেন। বিচারিক আদালতে যখন তাদের (সাকা-মুজাহিদ) মামলা চলছিল তখন আদালত মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে সাজা দেন। সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বিভাগের দুই দফা শুনানিতে তাদের আবেদন না মঞ্জুর হয়। শুনানির পর আপিল বিভাগ রিভিউ খারিজ করেন।
‘এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে বলে মনে করি না’ বলে জানান তিনি।