Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

18খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হওয়ার পর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থাকবে কি না- তা ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
রোববার মতিঝিলে আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এতথ্য জানান তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলেও শিক্ষার্থীদের ‘মনোযোগ-বিঘœতার’ কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার হলে যাননি মন্ত্রী।
ফিজার বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার স্তর যখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে তখন দুটি (প্রাথমিক-ইবতেদায়ী এবং জেএসসি-জেডিসি) পরীক্ষা না রেখে একটি রাখা যায় কি না- তা ভাবা হবে।”
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করেছে সরকার।
২০১৮ সালের মধ্যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা সম্ভব নয় বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ফিজার।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “কোনো ‘দুষ্টু লোক’ যদি ছোট-খাটো ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে তা মনে করেই সমাপনী পরীক্ষা একদিন পেছান হয়েছে।”
জামায়াতের হরতালের কারণে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা। সোমবারের নির্ধারিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহ।
আট সেট প্রশ্নে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “কিছু দুষ্টু মানুষ দুষ্টু বুদ্ধি নেয়। সরকার তাই কৌশলী হয়েছে।”
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ নভেম্বর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা তুলে দেওয়ার আভাস দেন।
এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সরকার বিষয়টি ভাবছে।
২০১৮ সালের মধ্যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা সম্ভব না হলেও সরকার জেএসসি-জেডিসির সনদ দেওয়ার এখতিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে দিতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড জেএসসি-জেডিসির সনদ দিচ্ছে।