Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

62খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগে চট্টগ্রাম ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আসরে প্রথম জয় পেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম ভাইকিংস। উদ্বোধনী জুটিতে ঝড়ের গতিতে রান তোলে তামিম ও দিলশান। ৭.১ ওভারে ৬৩ রান আসে উদ্বোধনী জুটি থেকে। দিলশান ২১ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। তামিম ৩৬ ও কাপুগেদারা ১ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম ভাইকিংস।
ইয়াসির আলী ও এনামুল হক চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রান যোগ করে। ইয়াসির আলী ২২ রানে আউট হন। দলের রান তখন ১২৩। শেষ দিকে এনামুল হকের ৩৯ ও জিয়াউর রহমানের ১৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে চট্টগ্রাম ভাইকিংস।। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে আশার জায়িদি ২টি এবং মাশরাফি ও নারায়ন ১টি করে উইকেট নেন।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে শুরুতেই ১০ রানে মধ্যে কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফেরত যান। তৃতীয় উইকেটে সেই চাপ সামাল দেন মারলন স্যামুয়েলস ও গুভাগত হোম। ৪৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুভাগত হোমের অবদান ৩০ রান। শুভাগত ১৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি।
স্যামুয়েলসের সাথে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন মাশরাফি। স্যামুয়েলস ও মাশরাফির ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মাশরাফির তিনটি ক্যাচ মিস না করলে কুমিল্লার জয়টা সহজ হত না। তৃতীয় উইকেটে মাশরাফি-স্যামুয়েলসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়ের দিকে এগোতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ওভার প্রতি প্রায় ১০ করে রান রেট। সেই রান তাড়া করে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকে স্যামুয়েলস ও মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে অবিশ্বাস্য এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফির কুমিল্লা। মাশরাফি বিপিএলের প্রথম ফিফটি তুলে ৩২ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। স্যামুয়েলস সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আমির ২টি ও শফিউল ইসলাম ১টি উইকেট লাভ করেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মাশরাফি বিন মুর্তুজা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। আগামীকাল বরিশাল বুলসে মুখোমুখী হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।