Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

67খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : ফেসবুকসহ বন্ধ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অ্যাপস খুলে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। দেশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এমন বক্তব্যের পরও ওই মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে যে কোনো সময়ই এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নানাভাবে বিশ্লেষণ করে দেশের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছে মন্ত্রণালয়টি। প্রাথমিকভাবে ফেসবুক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কয়েকদিন আগেই। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। এ কারণে বন্ধ মাধ্যমগুলো চালু করা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবারসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলো শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের দহগ্রামে গ্রামীণ ফোনের থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইঙ্গিত পেলেই ফেসবুক, ভাইবারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপস ফের চালু করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, যে কোনো সময়ই ফেসবুক খুলে দেওয়া হতে পারে। অন্য অ্যাপসগুলো খুলে দেওয়ার আগে আরও কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই। ওই মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুরোধ এলেই টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেবে।
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত বুধবার ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন, ট্যাংগো ও হ্যাংআউটসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম ও অ্যাপস বন্ধ করে দেয় সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নির্দেশ জারি করে বিটিআরসি। এ পদক্ষেপ নিতে গিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় সারা দেশে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট সেবা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব মাধ্যম ব্যবহার করে যাতে কোনো ধরনের উসকানি দিয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি না করা যায় এবং কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করতে না পারে, সে জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।