Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

44
খোলা বাজার২৪ ॥শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: আদালতের নির্দেশে ষাটোর্ধ্ব জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়েতার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহামুদের তত্ত্বাবধানে এ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, লাশ ডিকম্পোজ (পচে যাওয়া) হয়ে গেছে। আমরা হার্ট ও শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করেছি। ভিসারা রিপোর্টের জন্য সেগুলো হিস্ট্রো প্যাথলজিতে পাঠনো হয়েছে। জাপান পুলিশ আমাদের কাছে কিছু নমুনা চেয়েছিল। সেজন্য হাত-পা থেকে নখ ও দাঁতসহ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে তাদের (জাপানি পুলিশ) দেয়া হবে। এরআগে সকাল সোয়া ৬টার দিকে উত্তরার একটি কবরস্থান থেকে হিরোয়ি মিয়েতার মরদেহ উঠানো হয়। পরে তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। জাপানি এ নারীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী শাহান ওই নারীর মরদেহ কবর থেকে উঠানোর আবেদন করেন। ও
ই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এদিকে হিরোয়ি মিয়েতা প্রায় ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন। উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে সিটি হোমস নামের একটি হোটেলে তিনি একাই থাকতেন। গত ১৯ নভেম্বর জাপান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করেন, যাতে মিয়েতা তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ বলে উল্লেখ করা হয়।
এরপর পুলিশ জানতে পারে, ২৯ অক্টোবর মিয়েতার মৃত্যুর পর তাকে গোপনে উত্তরার একটি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যু ও গোপনে সমাহিত করায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়ায় তদন্ত শুরু করে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার থেকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।