Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

69
খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: চীনে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাণী ক্লোনিং কারখানা তৈরি হচ্ছে। বছরে ১০ লাখ মাংস উৎপাদনে সক্ষম হবে এই কারখানা। এখানে গরু থেকে শুরু করে কুকুর, ঘোড়ার মতো প্রাণীরও ক্লোন করা হবে। তবে প্রাণী ক্লোন করার এই বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
আজ বৃহস্পতিবার চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন কোটি ১০ লাখ ডলার খরচে তৈরি এ ক্লোনিং কারখানায় ক্লোনিং পরীক্ষাগার ও জিন ব্যাংক থাকবে।
চীনের বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান বয়ালাইফ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সুয়াম বায়োটেকসহ চীনের দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর আগে মানবভ্রূণ ক্লোন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন।
বয়ালাইফের চেয়ারম্যান শু শিয়াওচামকে উদ্ধৃত করে সিনহুয়া লিখেছে, চীনের তিয়ানজিনে নির্মাণ করা ক্লোনিং কারখানা থেকে আগামী বছর নাগাদ উৎপাদন শুরু করা যাবে। এখান থেকে ভ্রূণে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে পোষা প্রাণী, পুলিশের কাজে লাগে এমন কুকুর, ঘোড়দৌড়ের ঘোড়া, মাংস উৎপাদনকারী গরু প্রভৃতি উৎপাদন করা হবে।
শু শিয়াওচাম বলেন, চীনের কৃষকেরা বাজারের গরুর মাংসের চাহিদা মেটানোর পরিমাণ গরু উৎপাদন করতে পারছেন না।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্লোন করা পশুর মাংস খাওয়া নিয়ে নানা কথা উঠছে। এ প্রসঙ্গে চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জু ওয়ায়ি বলেন, প্রকৃত মাংসের সঙ্গে ক্লোন করা মাংসের তেমন কোনো পার্থক্য থাকবে না। তবে প্রকৃত ঝুঁকি যাচাই ও পরীক্ষা না করে তাড়াতাড়ি এ মাংস বাজারে ছাড়া ঠিক হবে না।
সিনহুয়া জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে চীনে প্রাণী ক্লোন করা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডে প্রথম ক্লোন করা প্রাণী হিসেবে ডলি নামের একটি ভেড়ার জন্ম হয়।
গত বছরে চীনের বয়ালাইফ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সুয়াম মিলে চীনের বাজারে মাংসের চাহিদা মেটাতে ক্লোনিং প্রতিষ্ঠান গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।