Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

28খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: আচরণবিধি ভাঙায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অধিনায়ককে ছাড়া খেলতে নেমে রংপুর রাইডার্স ৮২ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটিও হেরেছিল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আজ সাকিব আল হাসানকে ফিরে পেয়ে জ্বলে উঠল রংপুর। স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসকে ১১১ রানে আটকে দিয়ে ম্যাচ জিতল ৯ উইকেট ও ১৮ বল হাতে রেখে।
সাকিবের ফেরার দিনে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন সৌম্য সরকারও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ সেরা সেই পারফরম্যান্সের পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলা হয়নি। বিপিএলের শুরু থেকে ফিরলেও রান ফিরছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে মাঝারি আকারের ইনিংস খেললেও গত দুই ম্যাচে আউট হয়েছিলেন ৭ ও ৫ রান করে। আজ সৌম্যর অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে অনায়াস জয় পেয়েছে রংপুর।
৫৬ বলের ইনিংসটাতে আটটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। অন্য ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৪৪ বলে করেছেন ৪৭। উদ্বোধনী জুটিতেই ১০২ রান তুলে ফেলেছিল রংপুর। জয় থেকে মাত্র দশ রান দূরে থাকতে জহুরুল শফিউলের শিকার না হলে এবারের বিপিএলে উইকেটের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় জয়টা পেয়ে যেত রংপুর। তবে আগের ম্যাচে ৯ উইকেটে হেরে যাওয়ার শোধ তারা তুলল সমান ব্যবধানের জয় দিয়েই।
চট্টগ্রামে ফিরেও ভাগ্য ফিরছে না চিটাগং ভাইকিংসের। ছয় ম্যাচে এটি তামিমের দলের পঞ্চম হার। তামিম নিজে ব্যাটে রানের জোগান দিয়ে গেলেও বাকিরা পারছে না। আজও মিডল ও লোয়ার অর্ডার ডুবিয়েছে তাদের। অথচ শুরুটা তাদের ভালোই হয়েছিল। ১ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ৫৬। ২ উইকেটে ৮০—এখান থেকেও রানের গতি তারা বাড়াতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১১১ রানে ফুরিয়ে গেছে ২০ ওভার। সাকিব নিজে চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে রানের জন্য হাঁসফাঁস করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১১১/৮ (তামিম ৩৬, দিলশান ১৮, কামরান আকমল ১২, এনামুল ১৪, উমর আকমল ১, জিয়া ৩, নাঈম ১৬*, আমির ২, শফিউল ৬; সাকিব ২/১৬, নবী ১/১৮, সানি ২/২৭, পেরেরা ১/১৯, সজীব ১/১০)।
রংপুর রাইডার্স: ১৭ ওভারে ১১৩/১ (জহুরুল ৪৭, সৌম্য ৫৮*, সাকিব ১*; আমির ০/৭, তাসকিন ০/১৭, শফিউল ১/২২)।
ফল: রংপুর ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার।