Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

72খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে এক মেয়েশিশু। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, সৎবাবা ফারুক আহমেদ (৩৫) তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকেই ফারুক পলাতক।
ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক পরীক্ষায় যৌন নিপীড়নের প্রমাণ মিলেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শিশুটির মা জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুই মাস আগে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি মুক্তাগাছার আটানী বাজারের ফারুক আহমেদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ফারুক তাঁর কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা, জমি হাতিয়ে নিতে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করেন এবং মারপিট শুরু করেন।
ওই নারী আরো জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফারুক মারপিট করলে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পান, তাঁর ক্রন্দনরত মেয়েকে (আগের স্বামীর ঔরসজাত সন্তান) নিয়ে ফারুক বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর তিনি জানতে পারেন, ফারুক মেয়েটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মমেক হাসপাতালে গিয়ে তাঁর মেয়েকে জরুরি বিভাগে দেখতে পান। পরে তাকে অন্য একটি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তিনি।
এ বিষয়ে গত রাতে কথা হয় কর্তব্যরত গাইনি চিকিৎসক ফাইজা বিনতে হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তার (শিশু) ওপর পাশবিক নির্যাতনের হিস্ট্রি (ঘটনা) প্রত্যক্ষ করা গেছে।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. লক্ষ্মীনারায়ণ মজুমদার বলেন, তিনি রাতেই শিশুটির সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছেন। তার ওপর যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীনারায়ণ মজুমদার আরো বলেন, আজ শিশুটির ওপর কী ধরনের নির্যাতন হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে জানতে ‘হাইভেজাইনাল সুয়াব’ নামে একটি উন্নত পরীক্ষা করা হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি হাসপাতালের সহকারী পরিচালককে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘মন্তব্য করব না। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ধর্ষকের বিরুদ্ধে।