খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫:নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ বিষয়ক এক সিম্পোজিয়ামে বক্তারা নারীর অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়টি শিশুকাল থেকে রপ্ত করা হলে সমাজে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা হ্রাস পাবে।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইম্যান ও জেন্ডার স্টাডিজের উদ্যোগে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন হলে ‘হোয়াট ওয়ার্কস,নিডস টু বি ডান:ইন্টারোগেটিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইনেস্ট উইম্যান (ভিএডব্লিউ) এন্ড জেন্ডার প্রিভেনশন ম্যাকানিজম ইন বাংলাদেশ ’শীর্ষক দিনব্যাপী এক জাতীয় সিম্পোজিয়ামে তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নৈতিকতা শিখে শিশুরা বড় হলে সমাজে নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটবে। নারীর প্রতি সম্মান জানাতে প্রত্যয় ও সংকল্প থাকার মানসিকতা ঘটবে।
সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সিম্পোজিয়ামে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ,উইম্যান এন্ড জেন্ডার স্টাডিজের সহকারি অধ্যাপক ড.সানজিদা আক্তার ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক।
উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে নারীদের জন্য কি করতে হবে,তা নিয়ে কথা বলা লজ্জার বিষয়।এখন জ্ঞান ও বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলার সময়,কিন্তু দুর্ভাগ্য- আমাদের নারী নির্যাতন নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।
তিনি বলেন,এখন সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো মেয়ে কন্যাদের সঠিক শিক্ষা দেয়া । শুধু তাদের শিক্ষাই নয়, যারা নির্যাতন করছে তাদেরকেও সঠিক শিক্ষা দিতে হবে।
উপাচার্য বলেন, পারিবারিক ও প্রাথমিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষায় নানা ধরনের প্রতিযোগিতার জন্য মানুষ হওয়ার প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাচ্ছে।আগে বাবা ও মা বলতেন মানুষ হও, এখন তারা বলেন, জিপিএ-৫ অর্জন করো।
শিক্ষার আলো প্রজ্জ্বলন করা ছাড়া নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার সংকট থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না বলেও উপাচার্য উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন,‘নারীকে জাগতে হবে। বলতে হবে নারী নই,আমরা মানুষ।নারী হয়ে কেউ জন্মায় না, মানুষ হয়ে জন্মায় । সমাজ নারীকে এভাবে তৈরি করে।’
বাংলাদেশে নারী আন্দোলন ইতোমধ্যে অনেক হেঁটেছে।আরও হাঁটতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা হতে হবে জীবনঘনিষ্ট।জীবন বিচ্ছিন্ন শিক্ষা কোন শিক্ষা হতে পারে না। তাই শিক্ষা কার্যক্রমে নারীর প্রতি সম্মান ও অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সিম্পোজিয়ামে স্বাগত বক্তৃতা করেন, ঢাবি’র উইম্যান ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শেখ ইমতিয়াজ।
