Sun. Sep 14th, 2025
Advertisements

49খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: জ দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পরিস্থিতি দেখেই’ তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, “আমরা জানি এই নির্বাচন (পৌরসভা) সুষ্ঠু হবে না, অবাধ হবে না। প্রশ্ন উঠবে- তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছি কেন?

“এজন্য যাচ্ছি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা একটা উদার ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিবর্তন আনতে চাই।”

এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গিয়ে ‘দলীয় সিদ্ধান্তে’ মাঝপথে সরে দাঁড়ান বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।

তেমন পরিস্থিতি হলে নির্বাচন বর্জন করবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “এ ধরনের কথা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল। কে কখন বর্জন করবে- অর্জন করবে, দ্যাট উইল ডিপেন্ড অন দ্যা সারকামস্টেনসেস।”

দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মেয়র ও চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে দিনাজপুর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীরকে বরাখাস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্র কোন জায়গায় কোন স্থানে বিরাজ করছে আপনারা ভালো জানেন।”

“মকারিটা হচ্ছে- আবার আরেকটা নতুন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যদিও জানি, জনগণ ভোট দিতে পারবে না। আমরা বার বার বলে আসছি, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধ হবে না।”

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না- এমন আশঙ্কার কারণ হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন, এরপরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও সিটি করপোরেশ নির্বাচনের ‘অভিজ্ঞতা’ তুলে ধরেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, “পৌর নির্বাচনেও মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, ফেনীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তাই আপনারা জানেন, কেন আমরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করছি।”

কারাগারে থাকা দলের জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুস সালাম পিন্টু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ দলের সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

পৌর নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই কমিটিই গণমাধ্যমকে নির্বাচন সংক্রান্ত সব তথ্য দেবে।