খোলা বাজার২৪,রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: বিটিআরসির তহবিলে ‘অলস পড়ে থাকা’ প্রায় ৭২৫ কোটি টাকায় দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী কাজে সহায়তা এবং শিক্ষার্থীদের বাসে ওয়াইফাই সেবা দেওয়ার ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে সরকার।
রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল নিয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে ডাক ও টেলিযোগাযাগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বিশেষ করে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণে এ তহবিলের মোটা অংকের টাকা খরচ করা হবে। ”
তিনি জানান, উচ্চগতির ইন্টারনেটের জন্য সেসব এলাকায় ‘ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ও ওয়্যারলেস কানেকটিভিটি’ দেওয়া হবে।
“তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনীতেও সহায়তা করব, বিভিন্ন সরকারি বাসে ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হবে।”
তারানা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর আগে কিছু সরকারি বাসে ওয়াইফাই সুবিধা দিলেও তা কাজে আসেনি।
“তাই পাবলিক বাস, বিশেষ করে যেগুলো স্টুডেন্টরা ব্যবহার করে, সেগুলোতে ওয়াইফাই দেওয়া হবে।”
এ সিদ্ধান্ত ‘প্রাথমিকভাবে’ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সিদ্ধান্তটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে, তিনিই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।”
তহবিলের টাকা ব্যয়ের বিষয়ে বিটিআরসি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠাবে। তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার পর এক দিনের মধ্যেই একটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারানা।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, তহবিলের টাকা কীভাবে খরচ করা যায়- সভায় তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মূলত তিনটি ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে (এস ও এফ) শুধু মোবাইল ফোন অপারেটরটা তাদের অংশ জমা দিয়েছে, অন্য অপারেটরা কীভাবে এ তহবিলে সহযোগিতা করতে পারে তাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের প্রসারে মোবাইল ফোন অপারেটরদের মোট আয়ের এক শতাংশ কেটে নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এই তহবিল গঠন করা হয়।
এর পর থেকে মোবাইল ফোন অপারেটররা তহবিলে প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছে এবং বাকি টাকা সুদ হিসেবে তহবিলে জমা হয়েছে বলে বিটিআরসি প্রধান জানান।
সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসির হাতে এই অলস টাকা পড়ে থাকার তথ্য উঠে আসে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা ওই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, এই তহবিল ব্যবহারের উদ্যোগ তিনি নেবেন।