খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: একটি গ্লোবাল জরিপে বলা হয়, সুন্দরী ও সুদর্শন কর্মীরা অন্যদের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান। এর পেছনের কারণ হিসাবে দায়ী করা হয় মানুষের মানসিকতাকে। তাদের মধ্যে কেবলমাত্র সুন্দর খোঁজার প্রবণতা গড়ে দেওয়া হয়েছে। গড়পরতা চেহারার কর্মীদের সঙ্গে সুন্দরী বা সুদর্শনদের তুলনা করে দেখা যায়, দ্বিতীয় দলের মানুষগুলো বেতন বৃদ্ধি বা প্রমোশনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ভারতের চাকরির বাজারেও এমনই সমস্যা রয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। এর জন্যে এক্সপার্টদের সঙ্গে আলাপ করে জরিপ সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এতে একেক জন একেক মতামত ব্যক্ত করেছেন।
দিল্লির একটি আইটি ফার্মের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সন্দ্বীপ মালহোত্রা বলেন, ভালো চেহারা প্রথম দর্শনেই সুবিধা পেতে পারে। এর সঙ্গে যদি ওই নারী বা পুরুষ আত্মবিশ্বাস, দায়িত্বপালনে সামর্থ্য ও যোগাযোগে দক্ষতার ঝলক দেখাতে পারেন, তবে তো কথাই নেই। তিনি এমনিতেই প্রতিষ্ঠানের সম্পদে পরিণত হন।
আরেকটি প্রাইভেট আইটি কম্পানির এইচআর হেড শশিকান্ত নটরাজ জানান, বিষয়টি অযৌক্তির বৈষম্য। সুন্দর বা কুৎসিক, এরা যে কেউ তার কাজে অন্যদের চেয়ে দক্ষ হতে পারে। ফ্যাশন বা গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে শুরু করে সব খাতেই দুই চেহারার মানুষরাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারপরও গ্ল্যামার দুনিয়ায় সুন্দর চেহারার মানুষের চাহিদা থাকবে। কিন্তু আইটির মতো খাতে কে সুন্দর বা অসুন্দর তা কে দেখতে যায়। এখানে কাজের দক্ষতাটাই আসল।
একজন সুন্দরী ফিচার জার্নালিস্ট ফাইজা খান (ছদ্ম নাম) এ বিষয়ে একমত নন। সুন্দর দিয়ে যদি বেতন বাড়ানো যায় তাহলে তার কেন এই অবস্থা? অনেক পেশা খাতেই সুন্দর চেহারার মানুষরা আছেন। তারা কেবলমাত্র চেহারা দিয়ে কি সুবিধাই বা হাসিল করছেন? আসলে এ ক্ষেত্রে যে বসের কাছে যেতে পারেন, তিনিই লাভবান হন।
সমানবিজ্ঞানী রিতা ব্রারাকে একই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানান, আসলে বৈষম্য সৃষ্টি বহু উপায় রয়েছে। সুন্দরী বা সুদর্শনকে কেবল চেহারার কারণে বেশি সুবিধা দেওয়া বৈষম্য সৃষ্টি আরেকটি উপায়মাত্র। কেউ যদি সৌন্দর্যের লোভে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কর্মীর জন্যে কিছু করেন, তবে বিষয়টি এমনই মনে হবে। তবে সুন্দর কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান কিছুটা লাভবান হতে পারে বৈকি।