খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫: নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার সময় নতুন ধরনের অতি উত্তপ্ত গ্যাস উৎপাদন করেছেন জার্মানীর বিজ্ঞানীরা। ওই গ্যাস থেকে সস্তায় পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের আশা করছেন তারা।
বিজ্ঞানীদের উৎপাদিত চার্জ হওয়া কণার ‘হিলিয়াম প্লাজমা মেঘ’-এর স্থায়ীত্ব ছিল এক সেকেন্ডের দশমাংশ সময়। এরই মধ্যে দশ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়েছিল ওই গ্যাস। এটি জার্মানীর ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের জন্য একটি বড় অর্জন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সৌরশক্তিও নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমেই সৃষ্ট হওয়া। পৃথিবীজোড়া পদার্থ বিজ্ঞানীরা স্থির ফিউশন ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছেন যা শুধু সূর্যকে অনুকরণই করবে না, সেই সঙ্গে নিউক্লিয়ার ফিশনের মাধ্যমে সৃষ্ট বিষাক্ত বর্জ্য ছাড়াই শক্তি উৎপাদনে সক্ষম হবে।
উত্তরপূর্ব জার্মানির গ্রিফসওয়াল্ডের ওই বিজ্ঞানীদলের লক্ষ্য ভবিষ্যতে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়িকে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা। এজন্য তারা ডিউটেরিয়াম বা হাইড্রোজেনের আইসোটোপ ব্যবহার করবেন।
বিশেষ ওই হিলিয়াম প্লাজমা গ্যাস তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোওয়েভ লেজার, জটিল চৌম্বক কম্বিনেশন ও মাত্র ১০ মিলিগ্রাম হিলিয়াম দিয়ে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ওয়েনডেলস্টেইন ৭-এক্স।
নয় বছর আগে শুরু হওয়া ওই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১শ’ কোটি ইউরো খরচ হয়েছে। দক্ষিণ ফ্রান্সের ক্যাডারাচে ‘ইটার’ নামে ইইউ-এর প্রধান নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রকল্পটি ২০২০-এর আগে চালু হবে না। নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তি নিয়ে বিজ্ঞানীরা ৫০ বছর ধরে কাজ করছেন। কিন্তু অতি উচ্চ তাপমাত্রা উৎপাদন ও প্লাজমা নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া অনেকটাই ধীরগতিতে চলছে।