খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: ক্রিকেটার হওয়ার যে আশৈশব স্বপ্ন ছিল তাঁর, তা পূরণ হয়নি বটে। তবু মঞ্চে উঠে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে যখন বললেন ‘আপনি প্রযুক্তির রাহুল দ্রাবিড়’, উপচে পড়া দর্শকশ্রোতার সেকি উল্লাস! গুগল মাতিয়ে ঘরের ছেলের সে যেন ছিল ঘরে ফেরা। কথা হচ্ছে গুগল ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাইকে নিয়ে। এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক সফরে এখন আছেন ভারতেই। বুধবার দিনভর সব গুরুগম্ভীর সভা সেরে গত বৃহস্পতিবার হাজির হয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স প্রাঙ্গণে। সেখানে উত্তর দেন শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের।
হার্শা ভোগলে প্রথমেই গুগলি ছুড়ে দেন, গুগল কীভাবে সব সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে কাজ করে? সুন্দরের উত্তর,‘আমরা যেমন এখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে ভাবছি, তেমনই পরবর্তী প্রযুক্তি নিয়েই আমাদের সব সময়ের ভাবনা। ভারতে এই যে আমাদের এত আগ্রহ, তার পেছনের কারণ কিন্তু এটাই। কারণ, ভবিষ্যৎটা ভারতীয়দের হাতেই।’
ভারতীয় কোনো মিষ্টান্নের নামে অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণের নামকরণ হয়নি বলে ভারতীয়দের যে ক্ষোভ তার জবাবে গুগল নির্বাহী মজা করে বলেন, ‘পরবর্তী সংস্করণ অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ‘এন’-এর জন্য অনলাইনে মানুষের মতামত চাওয়া হবে।’
অনেক বিষয়েই কথা বলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই টেক-নির্বাহী। জানান, সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবাই গুগল কর্মীদের প্রধান কাজ। কোটি মানুষের সমস্যা নিয়ে ভাবেন তাঁরা। গুগল বুকসের বেলায় যেমন দুনিয়ার তাবৎ বই অনলাইনে নেওয়ার চিন্তা ছিল তাঁদের। ছোটবেলায় ফোন নম্বরগুলো ছিল তাঁর মুখস্থ। বলেন, ‘কারণ ভারতে ফোন নম্বরগুলো মাত্র ছয় সংখ্যার। যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু ১০ সংখ্যার। আর তাই সেখানে মুখস্থ না করে স্মার্টফোনে রেখে দিই।’ ক্রিকেট পছন্দ, তবে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা, বিশেষ করে লিওনেল মেসির পাঁড় ভক্ত তিনি। সবাইকে পেছনে রেখে ৩৬০ ডিগ্রি সেলফি তুলে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন হার্শা ভোগলে।
ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে মেহেদী হাসান