Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

60খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: শহরে আরও এক রহস্যময় মৃত্যু। দক্ষিণ কলকাতার নেতাজি নগরে এক তরুণীর পচাগলা মৃতদেহ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। আরও বেশি করে রহস্য দেখা দিয়েছে মেয়ের মৃত্যুর পর মায়ের উদাসীনতায়। নিজের মেয়ের মৃত্যুতে বিন্দুমাত্র চিন্তিত দেখা যায়নি মৃতার মা জলি নাথের। নেতাজি নগরের একটি তিনতলা বাড়ির এক তলায় মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন জলি নাথ। মা-মেয়ে কেউই পাড়ায় কারোর সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। মেয়ে মাম্পি এর আগে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানা গিয়েছে।

প্রতিবেশী সূত্রে আরো জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার থেকেই বাড়ির ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ পান আশেপাশের বাসিন্দারা। তাঁরাই থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে ওই বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। আর জলি নাথ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জলির কাছ থেকে চাবি নিয়ে দরজা খোলে পুলিশ। ভেতরে মেঝেতে মেয়ে মাম্পির মৃতদেহ পড়ে ছিল। দেহটিতে ইতিমধ্যেই পচন ধরা শুরু হয়ে গিয়েছে। জলিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পুলিশকে আঁচড়ে-কামড়ে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, মা জলি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাম্পির মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু ঘটে, তা জানতে মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

তবে দেহে যে ভাবে পচন ধরেছে, তাতে অন্তত তিন দিন আগে তার মৃত্যু ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল কাণ্ড উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে। দিদি দেবযানীর কঙ্কাল নিয়ে দিনের পর দিন একই ঘরে থাকতেন ভাই পার্থ দে। সেই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্যের পর আবার মেয়ের মৃতদেহের সঙ্গে একই ঘরে মায়ের বাস করায় নতুন করে রহস্য ছড়াল।