Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

65খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: আরো প্রতিযোগিতামূলক, স্বচ্ছতা ও সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) লাইসেন্স নিলামের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাসসকে জানান, আরো প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছভাবে অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা এমএনপি’র লাইসেন্স ইস্যুর প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, লাইসেন্সিং পদ্ধতিতে স্বচ্ছ ও সেবার মান নিশ্চিত করতে আরো প্রক্রিয়া পর্যালোচনার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রস্তাবিত এমএনপি নীতিমালা গত ২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, নিলামী নীতিমালায় অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তায় নিলামে অর্থের (দরের) পরিমাণ পরিবর্তন করা গেলেও, কিন্তু কারিগরি যোগ্যতার ক্ষেত্রে তা অপরিবর্তিত থাকতে হবে। নিলামের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনার জন্য বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, আগামী মার্চ মাসে এমএনপি লাইসেন্সের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে, বিধি মোতাবেক শিগগিরই ঘোষণা দেয়া হবে। তিনি বলেন, এই শিল্পের স্বার্থে নিরপেক্ষতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য আমরা এমএনপি চালু করতে যাচ্ছি। নিলামের মাধ্যমে একটি অপারেটরকে ১৫ বছর জন্য এমএনপি লাইসেন্স দেয়া হবে, লাইসেন্স ফি বার্ষিক ২০ লাখ টাকা।

উপরন্তু, দ্বিতীয় বছর থেকে এমএনপি লাইসেন্সধারী অপারেটর সরকারকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব দিতে হবে। একটি নিবন্ধিত বাংলাদেশী বা প্রবাসী বাংলাদেশী মালিকানাধীন কোম্পানি দেশের নিলামে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে, এই প্রক্রিয়ায় কোন বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতেই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু, বিদেশি কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ ৫১ শতাংশ রাখা যাবে, কোম্পানিটিকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করতে হবে এবং এতে বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এমএনপি অপারেটরদের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) সব ধরণের শুল্ক ঠিক করে দেবে। বর্তমানে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানসহ প্রায় ৭২টি দেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে এবং সিঙ্গাপুর এই ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হয়ে আছে।