Sat. Sep 13th, 2025
Advertisements

49খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ব্যাংক-কোম্পানির বিনিয়োগ সীমার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ব্যাংকের বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, আগামী ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে প্রদত্ত মূলধনের বিপরীতে ধারণকৃত ইক্যুয়িটি শেয়ার সলো ভিত্তিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সর্বশেষ সংশোধনী (২০১৩ এর সংশোধনী) অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে দেয়। ওই সার্কুলারটিও এখনো কার্যকর। কোনো ব্যাংক কোম্পানির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি না থাকলে সেই ব্যাংক কোম্পানি মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। এ জন্য তিনবছর সময় দিয়ে কারো অতিরিক্ত বিনিয়োগ ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে নামিয়ে আনতে বলা হয়।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনের আগে একটি ব্যাংক তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। তবে গত বছর আইন সংশোধন করে বিনিয়োগের হার মূলধনের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করা হয়। এতে করে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্ষমতা আগের তুলনায় কমে যায়। নতুন সার্কুলার জারির কারণে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়বে।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের একটা চাপ ছিল। এই সার্কুলার জারির ফলে সমন্বয়ের চাপ কিছুটা কমবে। যারা আগে সমন্বয় করতে পেরেছে তাদের জন্য নতুন বিনিয়োগ সৃষ্টি হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও আগের চেয়ে সক্রিয় হবে বলে মনে করেন তিনি।