Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

50খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: ২০১৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন দশ জন মানুষের তালিকা এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী নেচার। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক তাদের সম্পর্কে-
১. ক্রিস্টিয়ানা ফিগারেস
ডিসেম্বরে বিশ্বের সব দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে। কিন্তু এ কাজটির কৃতিত্ব যাকে দেওয়া যায়, তিনি হচ্ছেন ক্রিস্টায়ানা ফিগারেস। জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের অগ্রদূত হিসেবে ফিগারেস বিগত পাঁচ বছর সম্পূর্ণ বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। এ সময় তিনি পরিবেশবাদী, ব্যবসায়ী এবং সরকারদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অংশ নিয়েছেন তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমেও। ফলাফল হিসেবে, বিশ্বের ১৯৫টি দেশের সরকার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন তারা, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেবেন।
কোস্টা রিকা-এর ক্ষমতাধর রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে দেশের বাইরে নিজ পরিচয় গড়ে তুলেছেন ফিগারেস। সাবেক সহকর্মীরা তার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, “তিনি হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যিনি কাজ আদায় করে আনতে সক্ষম।”
অন্যদিকে নিজের সম্পর্কে ফিগারেসের বক্তব্য হচ্ছে, “বিশ্বে অন্য মাত্রার একটি যুদ্ধক্ষেত্র বেছে নিয়েছি আমি, তবে ভিন্ন মনে হলেও যুদ্ধটি একই। আমাদের সবারই একটি সর্বোচ্চমাত্রার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যা পালনের মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারি।”
২. জুনজিউ হুয়াং
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জুনজিউ হুয়াং ‘মানব ভ্রুন কীভাবে জিনের সাহায্যে বদলে দেওয়া সম্ভব’, সে বিষয়ে একটি গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। নিঃসন্দেহে বিষয়টি জিন-সম্পাদনা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি অর্জন। কিন্তু অনেকেই নৈতিকতার দিক থেকে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। আর তাই এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল নানা তর্ক-বিতর্ক। সে সময় চাইলে নিজ সাফাই গাইতে পারতেন সান ইয়াট-সেন ইউনিভার্সিটির আণবিক গবেষক হুয়াং, কিন্তু তিনি তা করেননি।
পরবর্তীতে হুয়াং জানিয়েছিলেন, এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করার অন্যতম কারণটি। হুয়াং জানিয়েচিলেন, “এর মাধ্যমে শুরুতেই ক্যান্সার বা ডায়াবেটিস-এর মতো জেনেটিক সমস্যা চিহ্নিত করা এবং ভ্রুণ উন্নয়নে জিন ঠিক কীভাবে কাজ করে তা জানা সম্ভব।”
গবেষণাটি সম্পন্ন করতে হুয়াং এবং তার টিম ‘ঈজওঝচজ-ঈধং৯’ নামের শক্তিশালী একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন বলেই জানিয়েছে নেচার। তবে প্রতিবেদন এখন প্রকাশিত হলেও, বিষয়টির বাস্তব রূপ দেখতে আরও ৫০ থেকে ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানিয়েছেন হুয়াং। তবে সে সঙ্গে তিনি এটিও বলেছেন, “আমরা জানি না, এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কে জানে কী হবে, এক দশক আগেও মানুষ ঈজওঝচজ সম্পর্কে জানত না।”
৩. অ্যালান স্টার্ন
প্রথমবারের মতো বিশ্বকে ‘প্লুটো’ দেখিয়েছেন মহাকাশ গবেষক অ্যালান স্টার্ন। ১৪ জুলাই নাসা-এর অর্থায়নে তৈরি নভোযানের মাধ্যমে স্টার্ন ও তার সহকর্মীরা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সক্ষম হন। অনেকেই হয়ত অবাক হবেন যে, ১৯৮৯ সাল থেকে এই স্বপ্ন লালন করছিলেন স্টার্ন। এমনকি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০০ সালে যখন ‘বাজেট’-এর কারণে নাসা এই পরিকল্পনাই বাতিল করে দিয়েছিল, তখনও হাল ছাড়েননি এই গবেষক। অবশেষে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই স্বপ্নকে নিজ চোখে বাস্তবায়ন হতে দেখেন স্টার্ন।
স্টার্নকে ‘নিউ হরাইজন’ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি ও তার সহকর্মীরা বিশ্ববাসীকে নিরাশ করেননি। তারা বিশ্বকে উপহার দিয়েছেন প্লুটো সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ছবি।
স্বপ্ন পূরণ শেষে এখন নতুন কাজে ব্যস্ত সাউথইস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষক স্টার্ন।
৪. জেনান বাও
ছোট একটি প্লাস্টিক বাক্স থেকে প্রথমে প্রায় ওজন নেই বললেই চলে এমন একটি কার্বন ন্যানোটিউব সংযুক্ত ‘প্যাচ’ বের হয়ে এল। প্যাচটির মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে, তবে সেজন্য প্যাচটি হাতে পরতে হবে। এরপর একই বাক্স থেকে বেরিয়ে এলো কৃত্রিম ত্বক, সেটি কার্বন-ন্যানোটিউব সেন্সরের মাধ্যমে ত্বক চিহ্নিত করতে সক্ষম।
বিষয়টি কোনো কল্পনা নয়, নিজ টিমের সাহায্যে এরকম পরিধেয় প্রযুক্তিই তৈরি করেছেন জেনান বাও। পেশাগতভাবে বাও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন রসায়ন প্রকৌশলী। এ ছাড়াও তিনি ‘ফিল্ড অফ থিন’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
প্রায় ওজনহীন, কিন্তু প্রযুক্তিতে পূর্ণ এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব এ ধরনের নানাবিধ পরিধেয় পণ্য তৈরির পেছনে প্রতিনিয়ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন বাও এবং তার গবেষণাগারের প্রায় ৪০ জন রসায়নবিদ, রাসায়নিক প্রকৌশলী ও পদার্থ বিজ্ঞানী।
নিজেদের উদ্ভাবন প্রসঙ্গে বাও জানিয়েছেন, পরিধেয় পণ্যগুলোর উদ্ভাবন প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত। এ ছাড়াও পরিধেয় পণ্য সম্পর্কে বাও বলেন, “বিষয়টি এমন নয় যে একটি মাত্র আইডিয়ার উপর এমন পরিধেয় পণ্য তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি উল্টো, অনেকগুলো আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে একটি পণ্য করা হয়।”
৫. আলি আকবর সালেহি
বর্তমানে ‘অ্যাটমিক এনার্জি অগানাইজেশন অফ ইরান’ এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলি আকবর সালেহি। বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন কমাতে ইরানও ভূমিকা রাখবে এমন বিষয়ে জুলাইয়ের ১৪ তারিখ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশটি। বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা। এ শান্তি চুক্তির পেছনে অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব যাকে দেওয়া যায়, সে হচ্ছেন সালেহি।
আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ বৈরুত এবং ম্যাসাচুসেটাস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-তে পড়ালেখা শেষে নিজ দেশে ফিরে যান সালেহি। তখন সবে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব (১৯৭৯) শেষ হয়েছে। দেশে গিয়ে ক্ষমতার শিখরে পৌঁছাতে খুব একটা দেরি করেননি সালেহি। ২০০০ সাল নাগাদ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন সালেহি।
নেচার জানিয়েছে, ধর্মপ্রাণ ও দেশপ্রেমিক সালেহি নিজ দেশের ব্যাপারে কোনো আপোষ করতে রাজি নন। কিন্তু একইসঙ্গে গুরুতর জটিলতার সময় চুপ করে থেকে আওয়াজ না তোলার মতো মানুষও নন তিনি।
৬. জোয়ান শ্মেলজ
চলতি বছরে ‘যৌন নিপীড়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জোয়ান শ্মেলজ।
পেশায় শ্মেলজ একজন সৌর পদার্থবিদ এবং আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিকাল সোসাইটি কমিটি অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (২০০৯-২০১৫)। দায়িত্ব পালনরত অবস্থাতেই অনেক জ্যোতির্বিদ নারী সহকর্মীর যৌন নীপিড়নের সংবাদ তার কানে এসেছিল। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী সহকর্মীরা এক এক করে তার কাছে এসেছেন এবং বলেছেন নিজেদের ব্যক্তিগত কথাগুলো।
ওই নারীকর্মীদের কথা থেকে শ্মেলজ চিহ্নিত করেন ভুক্তভোগী নারীদের মধ্যে একাধিক নারী একই ব্যক্তির মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। চার জন নারী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। ফলস্বরূপ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পদত্যাগ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিটিও যথেষ্ট পরিচিত বলেই জানিয়েছে নেচার। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে-এর একজন পরিচিত ‘এক্সপ্লোনেন্ট হান্টার’, নাম জেফ মার্সি। এটি এ বছরের লিঙ্গ বৈষম্যবিষয়ক অন্যতম একটি আলোচিত ও নাটকীয় ঘটনা বলেই জানিয়েছে নেচার।
৭. ডেভিড রাইখ
এ বছর জেনেটিসিস্ট ডেভিড রাইখ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে প্রাচীন জিনোম-এর মাধ্যমে মানবজাতির অজানা রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব। রাইখের জিনোম গবেষণা থেকে জানা গেছে, অতীতে প্রচুর মানুষ বসবাসের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গিয়েছিলেন, কীভাবে কৃষিখাতে তারা ভুমিকা রেখেছেন এবং তাদের ভাব আদান-প্রদানের মূল ভাষাটি কী ছিল। ২০১৩ সালে রাইখ এ গবেষণাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন।
রাইখ প্রসঙ্গে হার্টউইক কলেজ অফ অনিঅন্টা, নিউ ইয়র্ক-এর ডেভিড অ্যান্থনি মন্তব্য করেছেন, “রাইখ এমন একটি কাজ করার চেষ্টা করছে যা ওই কর্মক্ষেত্রের অন্যান্যরা করছে না।
অন্যদিকে রাইখ যে কাজটি উপভোগ করেন, তা তার কথা থেকেই পরিষ্কার বুঝা গেছে। নিজ কাজ প্রসঙ্গে রাইখ বলেছেন, “প্রাচীন ডিএনএ হচ্ছে এমন একটি টুল যার মাধ্যমে অতীত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, এটি অনেকটা নতুন বিজ্ঞানবিষয়ক যন্ত্রাদি উদ্ভাবনের মতো। আপনি এমন অনেক কিছুই জানতে পারবেন যা আগে জানতেন না।”
৮. মিখাইল এরেমেটস
“আমি যদি কোনো কিছু করতে চাই, তাহলে আমি সেজন্য অসংখ্য বার চেষ্টা চালিয়ে যেতেও খুশি”- নিজের সম্পর্কে এমন মন্তব্যই কছেন মিখাইল এরেমেটস। বর্তমানে তিনি ‘ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর কেমিস্ট্রি ইন মেইনজ’, জার্মানিতে কর্মরত।
৭০ এবং ৮০-এর দশকে তরুণ গবেষক এরেমেটস ছিলেন নাছোড়বান্দা, কোনো প্রয়োজনে হাজারবার ফোন ঘুরাতেও আপত্তি ছিল না তার। করেছেনও তাই। আর এজন্যই হয়তো তার হাতে ধরা দিয়েছে ‘প্রেসারাইজড হাইড্রোজেন’, যেটির মাধ্যমে এমন সুপারকন্ডাক্টর তৈরি করা সম্ভব যা কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই ১৯০ কেলভিন (-৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর বিদ্যুত প্রবাহ করতে সক্ষম। বলাবাহুল্য, বিষয়টি একটি রেকর্ড। ২০১৪ সালের এই অর্জনের ফলে এরেমেটস নেচার-এর দশজনের তালিকার আট নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন।
৯. ক্রিস্টিনা স্মোলকা
২০১৫ সালের শুরুতে গবেষণাগারের অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মতো সিন্থেটিক জীববিজ্ঞানী ক্রিস্টিটয়ানা স্মোলকা নিজেও অপিয়ড তৈরির জন্য ‘ইয়েস্ট স্ট্রেইন’ খুঁজছিলেন। এই শক্তিশালী ব্যথানাশক অষুধটি চিকিৎসাবিদ্যার জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু একটি পর্যায়ে তারা সবাই এসে আটকে যান। সে সময় অন্যরা বিকল্প পথ বেছে নিলেও, স্মোলকা তা করেননি। স্মোলকা ও তার টিম জেনেটিক ডেটাবেস ঘেঁটে ওই সমস্যার সমাধান বের করেছেন। এতে করে অন্যান্যদের বেছে নেওয়া রাস্তাটি মানবশরীরে যে প্রভাব ফেলত এটি তা ফেলবে না এবং স্মোলকার উদ্ভাবিত পথেই এখন তৈরি হচ্ছে ব্যথানাশক ওষুধ অপিয়াড। সিন্থেটিক প্রক্রিয়ায় তৈরি বিশ্বের প্রথম চেতনানাশক এটিই। গাছগাছালি, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি সর্বমোট ২৩টি ভিন্ন জিনের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান করেছেন স্মোলকা ও তার টিম।
১০. ব্রায়ান নোসেক
২০১৩ সালে নোসেক এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ওপেন সায়েন্স (সিওএস)। ২০১৫ সালে সিওএস এমন একটি প্রকল্পে হাত দিয়েছিল যার ফলে এ বছর গবেষণার ধারাই পাল্টে গিয়েছে বলা চলে।
সিওএস এর ওই প্রকল্পের নাম ‘রিপ্রোডিউসিবিলিটি প্রজেক্ট’। গবেষকরা সাধারণত নিজ নিজ থিসিসে এতটাই মগ্ন থাকেন যে তারা অধিকাংশ সময় ফলাফল মনঃপুত না হলে, তারা সেটি বাদ দিয়ে দেন অথবা প্রকাশ করেন না। কিন্তু ‘রিপ্রোডিউসেবল’ পথে গবেষকরা কাজ করলে, গবেষণার যে ফলাফলই আসুক না কেন, তারা সেটি প্রকাশ করবেন। নোসেক এর সম্পূর্ণ প্রকল্পটিকেই মনস্তাত্বিক প্রকল্প বলা চলে। কিন্তু বিষয়টি যে গবেষকদের চিন্তাধারা পরিবর্তনে সক্ষম হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।