Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

36খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : অখ-ষড়মড়পৌর নির্বাচনে বিএনপিকে ‘বাড়তি সুবিধা’ দেওয়ার বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী-নেতাকর্মীদের প্রতি ‘নির্দয় আচরণ’ করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করে কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানান।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা পৌর ভোটে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন- বিএনপির এমন অভিযোগের মধ্যেই ইসিতে পাল্টা এই নালিশ জানালো ক্ষমতাসীন দলটি।
সিইসি কাজী রকিউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন পৌর এলাকায় রিটার্নিং অফিসাররা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের হয়রানি করেছে। আবার বিএনপির লোকজন বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।
“নির্বাচন কমিশন বিএনপির প্রতি অতি সদয় হয়ে আমাদের ওপর নির্দয় আচরণ করছে। আমরা ইসির কাছে নিরপেক্ষ আচরণ চাই বলেই এ দাবি জানাতে এসেছি।”
আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করেন, তাদের কর্মী ও প্রার্থীদের ‘অযথা’ জরিমানা করা হচ্ছে।
“মোটর সাইকেলে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে বলে জরিমানা করা হয়েছে, যা নিরপেক্ষ আচরণ নয়।ৃআমাদের দুজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে; বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে।”
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা আচরণবিধির ‘বেড়াজালে’ পড়ে প্রচারে নামতে না পারলেও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির শীর্ষ নেতারা প্রচারে নামার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, “সংসদে না থেকে তারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন, সুবিধা নিচ্ছেন; তাদের বাড়তি সুবিধা দিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। প্লেয়িং ফিল্ড তাদের অনুকূলে রয়েছে। তাদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়।”
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেও নির্বাচনের মৌসুমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘সন্তোষ’ প্রকাশ করে হানিফ।
“আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তাই করবে ইসি। যখন যেটা প্রয়োজন মনে করে সে ব্যবস্থাই নেবে।”
বিধি ভঙ্গের বিষয়ে তদন্ত না করে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য্য ইসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“সংসদ সদস্যরা বিধি ভঙ্গ করছেন না। প্রয়োজন হলে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইসি। কিন্তু একজন প্রতিমন্ত্রী মসজিদ থেকে বের হয়ে কোলাকুলি করলেই বিধি ভঙ্গ হয় কী করে? তিনি কারও পক্ষে ভোট চাইলে তখন ব্যবস্থা নিতে পারে ইসি।”
বিএনপি ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে’ যাতে কোনো ধরনের বাড়তি সুবিধা নিতে না পারে- সেজন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হানিফ।
তিনি বলেন, “আমরা সমস্যায় রয়েছি। আমরা ইসির নিরপেক্ষ ভূমিকা চাই। তাদের বাড়তি সুবিধা না দিয়ে ইসিকে সম-আচরণ করতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে দীপু মনি, আবদুস সোবহান গোলাপ, বি এম মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন।