খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : ১) ডেঙ্গু : ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বেশিরভাগ মানুষ। ২০১৫ সালের এই রোগকে কাবু করতে প্রথম ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করা হল। এই ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর থেকে প্রথম পর্যায়ে ধরা পরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অনায়াসেই সুস্থ করা সম্ভব।
অ২২) সূঁচ ছাড়া রক্ত দেওয়া : ইনজেকশান এবং সূঁচে ভয়ে পেয়ে রক্ত না দেওয়ার চিন্তা আর নেই। পিং-পং বলের মতো আকৃতির একটি যন্ত্র আপনার শরীরে চেপে ধরে থাকতে হবে। যেখানে কোনো সূঁচ থাকবে না। এরপর একটি ভ্যাকুমের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করা হবে। যা যন্ত্রের মুখে লাগানো টিউবের মাধ্যমে বাইরে এসে জমা হবে পাত্রে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সাফল্য।
অ৩৩) হৃদরোগ : হার্টের সমস্যায় যেখানে সেখানে ব্যথা শুরু হয়ে অবস্থার অবনতিতে মারা যেতেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা না গেলে কখনওই বাঁচানো যেত না। ২০১৫ সালে আবিষ্কার হয়েছে এমন একটি ওষুধ, যা ব্যথা শুরু হলেই খাইয়ে দিতে হবে। এর ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়তি কিছু সময় পাওয়া যাবে।
অ৪৪) অবসাদের ওষুধ : অবসাদের জন্য ওষুধ বাজারে অনেক দিন ধরেই ছিল। কিন্তু যে ওষুধগুলি ছিল সেগুলো সবার শরীরে ঠিক মত কাজ করত না। এতে অবসাদ কাটার বদলে আরও বেশি বেড়ে যেত। ২০১৫ সালে নরেক্স ওষুধ কোম্পানির তরফ থেকে এমন একটি ওষুধ বের করা হয়েছে যা এক দিনের মধ্যেই অবসাদ দূর করবে। এই ওষুধটি সকলের শরীরেই কার্যকর হবে।
অ৫৫) ভ্রুণের ওষুধ : অনেক সময় মহিলাদের গর্ভবতী হতে গেলে প্রচুর শারীরিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এবার এমন একটি ওষুধ বের করা হয়েছে যেখানে পেটে থাকা ভ্রুণ যদি খারাপ হয় তাহলে তাকে আবার ভালো ভ্রুণে রূপান্তর করা যেতে পারবে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পেট থেকে ভ্রুণকে বের করে পরীক্ষাগারে তাকে পরীক্ষা করার পর পুনরায় ওভারিতে ইনজেক্ট করা হবে। যার ফলে একটি সুস্থ সবল বা”চার জন্ম দিতে পারে মা।