Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে খালেদা জিয়ার বাসভবন ও কার্যালয় ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় গুলশান-২ চত্বরেই এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। খালেদা জিয়ার সাজার দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য ছাড়াও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সাধারণ জনতা অংশ নেন।
মঙ্গলবার প্রথমে গুলশান-২ নম্বরের তাহের টাওয়ার সামনে অবস্থান এবং পরে গুলশান টাওয়ারে সামনে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তারা। এদিকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় গুলশান গোল চত্বরে আড়াআড়িভাবে ভ্যান রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অবস্থান কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার সাজার দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রথমেই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেন কেউ কটূক্তি না করতে পারে এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন করারও দাবি জানান তিনি।
শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, এটা কূটনৈতিক এলাকা। ভিয়েনা কনভেনশন মেনেই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আমরা এখান থেকে চলে যাব।
এ সময় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যা, তা একটি কথায় প্রমাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদিনে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন তিনি। তাকে আর নতুন করে কী চিনব? তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত।
অবস্থান কর্মসূচিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজসহ প্রমুখ অংশ নেন।