Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

36খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: ঠাণ্ডা মৌসুমের অলসতা থেকে দেহে জমতে পারে অতিরিক্ত চর্বি। তাই চাই সাবধানতা।
সকালে ঠাণ্ডার মধ্যে কম্বলের ভেতর থেকে বের হতে মন চায় না, বিকালে মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে করে, সঙ্গে গরম কোনো পানীয়, রাতে মন চায় মিষ্টি কিছু খেতে।
এই ছোট্ট ইচ্ছেগুলো চর্বি হয়ে শরীরে লেগে থাকতে পুরো শীতকাল, এমনকি সারাজীবনও।
শীতকালে ওজন বাড়ার সম্ভবনা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে আমাদের ক্ষুধা বাড়ে না, বরং তৃষ্ণা কমে। গরমের দিনের তুলনায় পানি খাওয়া কমে যাওয়া শরীর পানিশূন্যতা তৈরি হয় যা ওজনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
অপরদিকে মস্তিষ্কের যে অংশ দুটি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার জানান দেয় তারা পরস্পরের অত্যন্ত কাছাকাছি। তাই অনেক সময় দেখা যায় তৃষ্ণা মেটাতে পানি পান করার পরিবর্তে খেতে শুরু করেছি আমরা।
সমস্যা সমাধানের কয়েকটি উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
শারীরিক পরিশ্রম: শীতকালে শরীরচর্চা কিছুটা কমে যায় অনেকেরই। ‘আজকে থাক, কালকে যাবো’- এই ভেবে সকালে বিছানা ছেড়ে হাঁটতে যাওয়াও হয় না। তবে এটা উচিত নয়, শীতকালেও ক্যালরি খরচ করতে শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলাও বেশ উপকারী।
মুখরোচক খাবার: শীতের সময় চারিদিকে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার বেশি পাওয়া যায়। চকলেট, পাই, ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার যেমন, পাকোড়া, সমুচা মেলে হাতের নাগালেই। তবে হাতের কাছে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়লে চলবে না, নিজেকে সংযত রাখতে হবে। এজন্য নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
বাইরের খাবার: ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার ভালো শীতকাল। আর বিয়ে, অনুষ্ঠান, উৎসব তো আছেই। তবে ঘুরতে ঘুরতে পেটে কী পড়ছে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। বাইরে যাওয়ার আগে হালকা খেয়ে নিন। ফলে বাইরে খাওয়া ইচ্ছে কমবে। আর যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা যাবে।