Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

70খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রেমবঞ্চিতদের জন্য মেয়েদের মন পাওয়ার কৌশল শেখানোর স্কুল! ৪১ বছরের সুঠামদেহী পুরুষ তাকাশি সাকাই। হাসিটা বেশ সুন্দর, আছে ভালো একটা চাকরিও। কিন্তু এখনো কপালে বিয়ে জোটেনি। এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের হৃদয়ঘটিত বা প্রেমঘটিত সম্পর্কও হয়নি তাঁর জীবনে। এমন নয় যে তিনি প্রেমে পড়ার বা বিয়ে করার চেষ্টা করেননি, কিন্তু সফল হননি। তাকাশির মতো জাপানে এমন বহু পুরুষ রয়েছেন, যাদের কপালে বিয়ে জোটেনি বা জীবনে আসেনি প্রেম।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো, ২০১০ সালে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চের এক জরিপে দেখা গেছে, ত্রিশোর্ধ্ব পুরুষদের এক-চতুর্থাংশ এখনো কুমার। তারা কোনো ধরনের যৌন সম্পর্কে জড়ায়নি। ১৯৯২ সালের একই ধরনের একটি জরিপের তুলনায় এই হার তিন শতাংশ বেশি।
এ ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মূলত জাপানের অর্থনীতির ধীরগতির বিষয়টি যুক্ত। শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশটিতে হঠাৎ করেই আর্থিক মন্দাভাব দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগে। সংকুচিত হয়ে পড়েছে চাকরির বাজার। ঘটক ইয়োকো ইতামোতোও এ ব্যাপারে একমত।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দাভাবের কারণে জাপানের পুরুষদের কপাল পুড়েছে। বউ খোঁজার বদলে পূর্ণকালীন একটি চাকরি বা আর্থিক নিরাপত্তার সন্ধানেই তার সময় কেটে যায়। মনের মতো চাকরি না থাকায় অনেক পুরুষ অর্থনৈতিক অনাস্থায় ভোগেন, বিয়ে করার সাহস করেন না। গত দুই দশকে বিয়ের বিষয়টি জাপানের পুরুষদের জন্য বেশ কঠিন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৯ বছর বয়সী এক স্থপতি নারীহীন জীবনের কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন, জীবনে দুবার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। ২৫ বছর বয়সের দিকে প্রথমবার এক নারীর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হয় তার। আবার প্রায় দুই দশক পর আরেক নারীর প্রেমে পড়েন তিনি। তবে দুজনই তাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়।