খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: সাধারণ সিগারেটের নিকোটিনের কারণে নানা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয় বলে দীর্ঘদিনের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। আর এ সুযোগে কিছু প্রতিষ্ঠান ‘নিরাপদ’ দাবি করে ‘ইলেক্ট্রনিক সিগারেট’ বা ‘ই-সিগারেট’ বাজারজাত করে। যদিও ‘ই-সিগারেট’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস। এক গবেষণায় জানা গেছে ই-সিগারেটের উপাদান দেহের সেল নষ্ট করে, যা থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। গবেষকরা ল্যাবরেটরি টেস্ট থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি এও জানা গেছে সম্পূর্ণ নিকোটিন মুক্ত সিগারেটও দেহে ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে।
এ বিষয়ে গবেষকদলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর জেসিকা ওয়াং-রডরিকেজ বলেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ সিগারেটে ধূমপান থেকে ই-সিগারেটে ধূমপানে কোনো পার্থক্য নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ই-সিগারেট মার্কেটিংয়ের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করলেও এগুলো মোটেই নিরাপদ নয়।’ গবেষকরা বিষয়টি জানার জন্য বাজারে প্রচলিত দুটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ই-সিগারেটকে বেছে নেন।
এরপর তারা সেগুলো বিভিন্ন প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায় ই-সিগারেট দেহের বিভিন্ন অঙ্গ, গ্ল্যান্ড, মুখ ও ফুসফুসের মতো অঙ্গে সেলগুলোর ক্ষতি করছে ই-সিগারেট। গবেষকরা নিকোটিন যুক্ত ও নিকোটিন মুক্ত দুই ধরনের ই-সিগারেটই পরীক্ষা করেন। উভয় ধরনের ই-সিগারেট দেহের ক্ষতি করলেও নিকোটিন যুক্ত ই-সিগারেট সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের গবেষণা এখনও শেষ হয়নি। তারা বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের ই-সিগারেট পরীক্ষা করে সেগুলোর স্বাস্থ্যগত বিষয় জানার চেষ্টা করছেন। বাজারে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ব্র্যান্ডের ই-সিগারেট পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে আবার রয়েছে সাত হাজার ভিন্ন ফ্লেভার। গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ওরাল অনকোলজি জার্নালে।