Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

60খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: একটা সময় শহীদুল ইসলাম খোকনের ছবি মুক্তি পাওয়া মানেই ছিল, প্রেক্ষাগৃহের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন।
একটা সময় শহীদুল ইসলাম খোকনের ছবি মুক্তি পাওয়া মানেই ছিল, প্রেক্ষাগৃহের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন। খোকনের সিনেমা মানেই দুর্দান্ত অ্যাকশন, মৌলিক গল্প, মিষ্টি মধুর গান আর টানটান উত্তেজনায় তিন ঘণ্টা পার করে ষোল আনা উসুল করে বাড়ি ফেরা। সেই নির্মাতা আজ অচেতন পরে আছেন হাসপাতালের বিছানায়। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইউএএমসি) আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন এই পরিচালক।
সেখানকার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) দায়িত্ব পালনরত ড. শাকিল আরমান বলেন, “সোমবার থেকে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায়, তার চিকিৎসা চলছে আপাতত।”
মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত পরিচালক খোকনকে ইউএএমসিতে নিয়ে আসা হলে প্রথমেই লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার দেয়া শুরু হয়। এছাড়াও নিউমোনিয়ার জন্য কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আগের চেয়ে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
ড. শাকিল বলেন, “নিউমোনিয়া, নন ইনভেসিভ অবস্থায় পেয়েছি। তার কনশাস লেভেল ইমপ্রুভ করেছে আগের চেয়ে। এভাবেই যতোটা রিকভারি করতে পারেন। পুরোপুরি সুস্থ তো হতে পারবেন না।”
ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যাবে পরিচালকের পুরো স্নায়ুতন্ত্র। মোটর নিউরন ডিজিজের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। রোগী যতোদিন বেঁচে থাকবেন ততোদিন শুধু অন্য রোগ বা উপসর্গ থেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা চলতে পারে।
একই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুবছর হলো চলে গেলেন অভিনেতা, নির্দেশক খালেদ খান। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে আছেন ৫৮ বছর ধরে।
২০১৫ সালে ১০ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পরিচালক খোকন। সেখানে বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বলে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। অক্টোবরের শেষ দিকে দেশে ফেরার পর পাঁচ -ছয় দিন আগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ডা. আরেফিনের তত্ত্বাবধানে খোকনের পেটে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউব স্থাপন করা হয়। লাইফ সাপোর্টে নেয়ার আগ পর্যন্ত এ টিউব দিয়েই তিন ঘণ্টা পরপর তাকে খাওয়ানো হচ্ছিল।