Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

64খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৬: গতানুগতিক ইন্টারনেটব্যবস্থার অন্তরালে রয়েছে আরেকটি জগত। যার নাম ডার্ক ওয়েব। সম্প্রতি আফবি আই ডার্ক ওয়েবে শিশু পর্ন বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট খুঁজে পেয়েছে। এত বড় শিশু পর্নের সাইট এর আগে কোনকালেই পাওয়া যায়নি। এফবি আই হ্যাকিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে এর সন্ধান পায়। এখন ওয়েবসাইটির মালিক ও এর ক্রেতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ২০১৪ সালে ডার্ক ওয়েবে প্লেপেন নামের একটি ওয়েবসাইট চালু হয়। সেখানে সাইন আপ করে যে কেউ পছন্দের ছবি আপলোড করতে পারতেন।
এ সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে জমা দিয়েছে আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে বলা হয়, প্রাথমিক অবস্থায় বিজ্ঞাপন ও পর্নগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়াই এ ওয়েবসাইটের লক্ষ্য। ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের এমন এক অংশ যেখানে গুগল সার্চ বা অন্যান্য গতানুগতিক উপায়ে প্রবেশ করা যায় না। এখানকার ওয়েবসাইটগুলো লুকানো থাকে। কাজেই সাইবার অপরাধীদের জন্যে এটাই অভয়ারণ্য। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে আন্ডারগ্রাউন্ড বাজারে আন্ডারগ্রাউন্ড পণ্য দিব্যি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সেখনে নার্কোটিক, রাসায়নিক পদার্থ, অস্ত্র এবং অবৈধ অন্যান্য জিনিসের দেখা মেলে। বহু ব্যবহারকারী ‘টর’ ব্যবহার করেন নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে।
প্লেপেন-এর সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যে ২ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এতে ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে প্রায় ১১ হাজার নতুন নতুন ভিজিটর আসেন এখানে। ২০১৫ সালের ফেব্র“য়ারিতে এফবি আই শিশু পর্ন বিষয়ক কিছু মারাত্মক পোস্ট আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। নর্থ ক্যারোলিনায় লেনয়ির নামের এক ওয়েস হোস্ট থেকে চলে প্লেপেন। নিউইংটনের নিজস্ব সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটটি চালানো শুরু করে এফবি আই।
তারা নেটওয়ার্ক ইনভেস্টিগেটিভ টেকনিক (এনআইটি) নামের বিশেষ এক হ্যাকিং কৌশল প্রয়োগ করে। এর মাধ্যম ১৩০০ আইপি অ্যাড্রেস বের হয়ে আসে। এই পদ্ধতি দারুণ স্পর্শকাতর যা প্রথমবারের মতো কোনো আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করলো। এ পদ্ধতির মাধ্যমে আউটডেটেড টর ব্রাউজারের মধ্যকার নানা দুর্বলতা বের করা হয়।
পরে ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, তার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম, ম্যাক অ্যাড্রেস, হোস্ট নেম ইত্যাদি বের হয়ে আসে। এ পদ্ধতিতে শিশু পর্নগ্রাফির সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করা হলেও অনেকে এ নিয়ে চিন্তিত যে, একটি উদ্দেশ্য পূরণ করে ১ হাজারের বেশি কম্পিউটার হ্যাক করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নিউ ইয়র্কে দুইজনকে চিহ্নিত করা হয়। পরে গেলো বছরের বাকি সময় ধরে কানেকটিকাট, ম্যাসাটুসেটস, ইলিনয়েস, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ফ্লোরিডা, ইউতাহ এবং উইকনসিন থেকে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। চলতি বছরে খুব শিগগিরই আটকৃতরা শুনানির সম্মুখীন হবেন।